পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সম্পদশালী ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা আশাবাদী। সেজন্য সরকার সংবিধানকে সমুন্নত রেখে সব ধর্মের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সিলেট জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে ‘ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প-২’ এর আওতায় আয়োজিত বিভাগীয় পুরোহিত-সেবাইত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সংবিধানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকারের কথা বলা রয়েছে। বর্তমান সরকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনেও করবে। সরকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে চারটি ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সবার উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। এটাকে বাস্তব রূপ দিতে হলে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রেখে আমরা সোনার বাংলা গড়তে চাই।
হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু.আ. হামিদ জমাদ্দার, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজিত দাশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসেইন মো. আল জুবায়ের।
প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর শিখা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অশোক মাধব রায়, ইঞ্জিরিয়ার পি কে চৌধুরী, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষেন্দু কুমার পাল।
প্রশান্ত মল্লিক ও পিংকি পালের যৌথ সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ধৃতপদ সেন, পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট রঞ্জন ঘোষ, শ্রীহট্ট ব্রাহ্মসমাজের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, অমিত চক্রবর্তী, আশীষ রতন চক্রবর্তী প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা জানান, এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে প্রায় ৪১ হাজার পুরোহিত-সেবাইতদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ৬শজনকে মাসিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের হিন্দু আইন, আইসিটিও ভূমি আইনের পাশাপাশি কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সভায় বক্তারা দেবোত্তর সম্পত্তি আইন প্রণয়ন ও হিন্দু ফাউন্ডেশন গঠনের জোর দাবি জানান।
সম্মেলনে সিলেট বিভাগের চার জেলার পুরোহিত ও সেবাইতরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন