বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে স্বামীর খোঁজে এসে তার দেখা না পেয়ে নিজ দেশে ফেরত গেছেন এক ভারতীয় তরুণী।
ভারতীয় তরুণীর নাম রিয়া বালা। তার বাড়ি ভারতের বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকায়। তিনি ওই এলাকার শ্যামল কান্তি বালার মেয়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই তরুণী প্রেমে পড়েন বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচণ্ডী এলাকার অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে বিটু রায়। প্রেমের একপর্যায়ে বিটু রায় ভারতের জলপাইগুড়িতে গিয়ে প্রেমিকা রিয়া বালার সঙ্গে দেখা করেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানার শিকারপুর এলাকায় তার পিসির বাড়িতে রিয়া বালাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা সেখানে ১ মাস বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। একপর্যায়ে দেশে ফিরে আসেন বিটু রায়। দেশে ফিরে রিয়া বালার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এমনকি বিয়ের বিষয়টিও অস্বীকার করতে থাকেন।
উপায় না দেখে স্বামীর খোঁজে গত ২৯ নভেম্বর বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বিটুর বাড়িতে যান রিয়া বালা। তার আসার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বিটু। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) স্বামীর বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই তরুণী।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া থানার নারী ও শিশু সেলে থাকার ব্যবস্থা করেন। এ সময় বিটুর বাবা অখিল চন্দ্রও সাথে ছিলেন। তিনি ছেলে ফিরে আসলে তাকে নিয়ে ভারতে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি তাকে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত তাকে পৌঁছে দেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া বলেন, ছেলেটি পালিয়ে থাকায় বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। তবে ছেলের বাবা ছেলে ফিরে আসলে তাকে নিয়ে ভারতে যাওয়ার আশ্বাস দেন। পরে ওই ভারতীয় তরুণী দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে গিয়ে তার বোনের কাছে তুলে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন