আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে চাঁদপুরে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক আক্রান্ত শিশু ভালো চিকিৎসা সেবা পেতে ভর্তি হচ্ছে চাঁদপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হাসপাতালে গেলে শিশুরোগীদের বেড পেতে মেঝেতেও চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩৪ জন শিশুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬১ জন শিশু রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছে। অন্যত্র রেফার্ড করতে হয়েছে ১৪ শিশুকে এবং আজকে এখন পর্যন্ত ভর্তি রয়েছে ১১৭ শিশু। এদের বেশিরভাগ রোগীই ছেলে শিশু।
শহরের আনন্দ বাজারের শিশু রোগী ফাহিম, শাহরাস্তির আইমান, হাজীগঞ্জের ওমর, ওসমান, গুয়াখোলার তৈয়বসহ বেশির ভাগ শিশুর বয়সই হচ্ছে শূন্য থেকে ২ বছর। তাদের অভিভাবকরা বলছেন, আমাদের শিশুদের ঠান্ডা, নিউমোনিয়া ও জ্বর বুজতে পেরে ভালো চিকিৎসা পেতে এখানে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু চরম সত্য হলো, এখানে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় আমরা শিশু রোগীদের নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিময় সময় কাটাচ্ছি। কেননা মেঝের চারপাশে দুর্গন্ধ, ময়লা, বিড়ালের উৎপাত, মশাসহ নাজুক অবস্থা। শুনেছি অপুষ্টিতে আক্রান্ত ৩ শিশু রোগী গেল কয়েকদিনে এখানে মারা গেছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ.কে.এম মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের এই হাসপাতালে শিশু রোগীর জন্য অনুমোদিত আসন রয়েছে মাত্র ৪২টি। তবুও রোগীর স্বজনরা এখানে আসলে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। আমরা তাদের শিশুদের যত্ম নিতে ওষুধের পাশাপাশি নানা ধরনের সচেতনতামূলক পরামর্শও দিচ্ছি। এ ছাড়াও হাসপাতালে ৪ থেকে ৭ দিন রাখার পাশাপাশি শিশুদের সার্বক্ষণিক তদারকিও করছি।
মন্তব্য করুন