আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ আসনের (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর কর্মীকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের উপজেলার বনপাড়া বাজারে নৌকা প্রতীকের পক্ষে বনপাড়া পৌরসভার জনসাধারণের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সোবাহান প্রামানিক, বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর ঈমান আলী ও মুহিত কুমার বক্তব্য রাখেন।
ভুক্তভোগী ঈমান আলী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহানারা বেগমের ছেলে ও বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন সরকার তাকে ডেকে তার মায়ের পক্ষে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বলেন। আমি আওয়ামী লীগের বাইরে কাজ করতে না চাইলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিটের হুমকি দেয়। আমাকে পৌরসভাতে আসতে নিষেধ করে। আমার জীবন নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই। আমি বড়াইগ্রাম থানায় মেয়র কেএম জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বনপাড়া পৌরসভার তিনবারের কাউন্সিলর ঈমান আলীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কারনে মেয়র জাকির হোসেন বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে। আমরা এই ঘটনা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন সরকার বলেছেন, ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী আওয়ামীলীগের মনোনায়ন পাওয়ায় এক শ্রেণির লোক মেনে নিতে পারছে না। তারা আওয়ামী লীগ করে অথচ শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মানে না। আমি এই ঘটনা দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি।
এ ব্যাপারে কেএম জাকির হোসেন বলেন, আমি মেয়র হিসেবে কাউন্সিলর ঈমান আলীকে আমার মায়ের পক্ষে কাজ করার অনুরোধ করেছিলাম। কোনো হুমকি বা গালিগালাজ তো করা হয়নি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমি যখন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম তখন মেয়র কেএম জাকির হোসেন বিরোধিতা করেছিল। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মানেন না। আমার এক কর্মীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুতি চলছে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাসেল বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ করে নাই। তবে মানবন্ধনের বিষয়টি আমি শুনেছি।
মন্তব্য করুন