কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এসব বস্তা থেকে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে। এর আগে কখনো এত পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়নি। ৯টি লোহার দানবাক্সে টাকা ছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে টাকা গণনার কাজ। যা শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টার দিকে।
গণনায় অংশ নেয় প্রায় ২০০ জনের একটি দল। টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা গণনা শেষে জানা যায় টাকার পরিমাণ। গণনায় ছিলেন ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১৩০ জন শিক্ষার্থী, ৬০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা, ১০ জন শিক্ষক এবং ১০ জন আনসার সদস্য।
প্রতি তিন মাস পরপর খোলা হয় দানবাক্সগুলো। এবার খোলা হয়েছে তিন মাস ২০ দিন পর। মসজিদটির দানবাক্সে পাওয়া এসব টাকা দিয়ে কী করা হয়, তা জানতে চান অনেকে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, এসব টাকা দিয়ে নতুন মসজিদ কমপ্লেক্সের কাজে হাত দেওয়া হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে অন্যতম এই পাগলা মসজিদ। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে গড়ে ওঠে মসজিদটি। কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতারণার বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান মসজিদটির খতিব।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্স। তখন পাওয়া যায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা।
মন্তব্য করুন