আল-কারিয়া চৌধুরী, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আজকের এই দিনে পাঁচবিবির আকাশে উড়েছিল বিজয় পতাকা

জয়পুরহাটে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য। ছবি : কালবেলা
জয়পুরহাটে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য। ছবি : কালবেলা

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাঁচবিবির আকাশে স্বগৌরবে উড়িয়ে দিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত বিজয় পতাকা। পাঁচবিবি হয়েছিল হানাদারমুক্ত। এদিন প্রত্যুষে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে শ’ দেড়েক মুক্তিযোদ্ধা বিজয়ীর বেশে ভারত (হিলি, পশ্চিমবঙ্গ) থেকে পা রাখেন বাংলাদেশের মাটিতে।

পাঁচবিবি উপজেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা ভুইডোবা গ্রাম হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ১০টার দিকে পাঁচবিবি সদর থানা চত্বরে পৌঁছলে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদুজ্জামান বাবলু। এরপর তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম আব্দুল মোতালেব ও খন্দকার আলমগীর হোসেনের ওপর দায়িত্ব দিয়ে দলবলসহ চলে যান জেলা সদরের দিকে। ১৪ ডিসেম্বর পাঁচবিবি ছিল বৃহত্তম হাটবার। শত্রুর কবলমুক্ত পাঁচবিবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের খবরে শত শত মানুষ অভিনন্দন জানানোর জন্য ছুটে আসেন থানা চত্বরের দিকে। মুক্তিযোদ্ধারা জনতার কোলাহলের ভেতরে গগণবিদারী জয়বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় অসংখ্য ফাঁকাগুলির শব্দ, করতালি ও হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের ন্যায় পাঁচবিবি লাল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মোতালেব। জেলার মধ্যে পাঁচবিবি থানা প্রথম পাকবাহিনীর দখলে যায়, আবার শত্রুমুক্ত হয় সবার আগে।

১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) হাটের দিন পাঁচবিবি ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিল। ওই দিন দুপুর ১২টায় পাক বাহিনীর দল ফেচকাঘাট হয়ে পাঁচবিবির দিকে আসে এবং এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। ওই দিন পাক বাহিনীর গুলিতে নিহত হন দানেজপুর গ্রামের সাত্তার পাগলা, দিবাকরপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম, দড়ি বিক্রেতা রমজান আলী, দামোদরপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী ও থানা আক্রমণকালে পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য। এ ছাড়া হাট থেকে চিরতরে নিখোঁজ হন আয়মারসুলপুর গ্রামের হাজী মনির উদ্দিন হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার কুন্ডুসহ আরও অনেকে। পাঁচবিবি হাটে রাস্তার এক পাশেই ননীগোপাল কুন্ডুর দোকানে স্বাধীন বাংলা মানচিত্র খচিত বিজয় পতাকা। গুলিতে ঝাঝরা হয়ে যায় ননী গোপাল কুন্ডুর ও তার পতাকা। তার ভগ্নিপতি নীলমনি কুন্ডুও আহত হন এবং পরে মারা যান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: বিজয়ের ৫৩ বছর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মানুষ কেন পরচর্চা করতে ভালোবাসে?

পরিবারের সবাইকে বেঁধে বিএনপি নেতার বাড়িতে ডাকাতি

নেপালের বিপক্ষে খেলবেন না হামজা

ঢাবির হলে বহিরাগত থাকায় নিষেধাজ্ঞা

ধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ, শাস্তির দাবি শিবিরেরও

নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ

রাত ১১টার পর হলে ঢোকায় রাবির ৯১ ছাত্রীকে তলব, অতঃপর...

ঘরে ঢুকে ছেলে দেখেন মায়ের রক্তাক্ত লাশ

ভবিষ্যতে সরকারপ্রধানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত : ফারুকী

স্থগিত হওয়া বিশ্বকাপ হতে পারে বাংলাদেশে!

১০

উপাচার্য, প্রক্টরের পদত্যাগ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১১

আ.লীগের মিছিলে স্লোগান দেওয়া সেই বাকপ্রতিবন্ধীর জামিন

১২

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে কেন তাড়াহুড়ো করছে পাকিস্তান?

১৩

গাজীপুরে উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয়দের হামলা, সার্ভেয়ারসহ আহত ২

১৪

চাঞ্চল্যকর কেয়া হত্যায় স্বামী সিফাতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

১৫

শখের বাইকেই প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর

১৬

আপনারা কারা, জাপা মহাসচিবকে রিজভী 

১৭

‘ড্যানসেস উইথ উলভস’ অভিনেতা গ্রাহাম গ্রীন আর নেই

১৮

ডি ভিলিয়ার্সের দৃষ্টিতে, সেরা পাঁচ ক্রিকেটার যারা

১৯

গাজীপুরে মেলার নামে লটারি প্রতারণা, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

২০
X