যশোর-৪ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায় বলেছেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আমি এখনো স্বতন্ত্র প্রার্থী, তবে বাস্তবতা হচ্ছে ভিন্ন কারণে আমি মনোনয়ন কিনেছিলাম, নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে ভোটে লড়ার জন্য নয়। সারা বছরই মঞ্চে বলেছি, নৌকা যেখানে, আমরা সেখানে! এখন আমি কীভাবে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করব?’
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রনজিৎ কুমার আরও বলেন, এই সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আমি টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি, ফলে এটা দলের কাছ থেকে অনেক বড় পাওয়া। সেই দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে ভোটে লড়ব, এই উদ্দেশে আমি মনোনয়ন ক্রয় করিনি। বাস্তবতা হচ্ছে, আমিসহ অনেকেই বহু বছর আগে থেকেই জানি দলীয় মনোনয়ন পাওয়া এনামুল হক বাবুল একজন ঋণখেলাপি, ফলে নির্বাচনী আইনে তার মনোনয়ন বাতিল হলে তৃতীয় কোনো পক্ষ যেন এই সুবিধা গ্রহণ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলাম। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছেন, তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ওই আপিলের শুনানি, কোন কারণে যদি তিনি প্রার্থী হিসেবে বৈধ হন কিংবা দল আমাকেও না চায় সেক্ষেত্রে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেব। নৌকা যার কাছে থাকবে আমরা তাকেই বিজয়ী করতে কাজ করব।
দলীয় নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, এদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে আমার আপস নেই। এই প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার পাশে আমৃত্যু থাকব। যত ষড়যন্ত্র হোক স্ব-স্ব এলাকায় আমরা মোকাবিলা করব।
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হরিপদ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাঘারপাড়া পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শহীদুল্লাহ, বাঘারপাড়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আজগার আলী, বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সুযোগ্য আহ্বায়ক যুবনেতা রাজিব কুমার রায়, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী জুলাই ও কামরুজ্জামান লিটন, উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সালমা খাতুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রনি ভৌমিক, ১ নং জহুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ পাটোয়ারী, ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু, ২ নং বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ডাকু ও যুবনেতা রুবেল রানা, ৩ নং রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামিউজ্জামান হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন, ৪ নং নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা, ৫ নং ধলগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুভাষ দেবনাথ অবিরাম, ৬ নং দোহাকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার মোল্যা, ৭ নং দরাজহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু নরেন দেবনাথ, ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, ৮ নং বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আলহাজ আমিনুর সরদার, সাধারণ সম্পাদক নুর জালাল খাঁন, জামদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক নেতা টিপু সুলতান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন