গাজীপুরের টঙ্গীতে নিখোঁজের তিন দিন পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টঙ্গী নিমতলী বালুর মাঠ এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সৎ খালাতো ভাই ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত জান্নাত (৭) সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার দশশিখা গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। জান্নাত ওই এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত।
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় খালাতো ভাই মোহাম্মদ জনি (১৫) ও তার বাবা ফজলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা টঙ্গীর শিলমুন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জান্নাত গত নভেম্বর মাসে টঙ্গীর শিলমুন জুগিবাড়ি এলাকায় খালার বাসায় বেড়াতে আসে। গত রোববার সকালে খালাতো ভাই মোহাম্মদ জনি চিপস কিনে দেবার কথা বলে জান্নাতকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর জনি বাসায় ফিরে এলেও জান্নাতকে পাওয়া যায়নি। পরে জান্নাতের বাবা আব্দুল মান্নান রোববার দুপুরে টঙ্গী পূর্ব থানায় শিশুটির খোঁজ চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বুধবার পুলিশ খালাতো ভাই জনি ও তার বাবা ফজলু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বালিচাপা দেবার তথ্য জানায় তারা। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে পুলিশ জনিকে সঙ্গে নিয়ে নিমতলী এলাকার বালুর মাঠ থেকে বালিচাপা দেওয়া অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ আরও জানায়, খালাতো বোন জান্নাতকে ধর্ষণ করে হত্যার পর জনি তার বাবা ফজলু মিয়াকে ঘটনাটি জানায়। পরে বাবা ও ছেলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নিখোঁজ শিশুটির সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন তারা।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, শিশুটির সন্ধান চেয়ে সাধারণ ডায়রির পর জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে স্বীকার করেছে ছেলে জনি ও বাবা ফজলু। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন