বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় কুমার সরকারের কর্মীকে মারধর করে পোস্টার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে তার কর্মী রশিদুল ইসলামকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার জনতা ব্যাংকের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে আদমদীঘি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রশিদুল ইসলাম।
তার অভিযোগ, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদীর কর্মী সমর্থকরা এই হামলা চালান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অজয় কুমার সরকারের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন উপজেলার বড়দীঘি এলাকার বাসিন্দা রাশিদুল ইসলাম। রশিদুল আদমদীঘি উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক। মেহেদী আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রাজুর ছেলে। রাজু এবারের নির্বাচনে বগুড়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। পরে আসনটিতে জোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জন্য ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জনতা ব্যাংকের সামনে কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অজয় কুমারের নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছিলেন রশিদুল ইসলাম। এ সময় সেখানে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আদমদীঘি আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হক আবুর নেতৃত্বে সুমিনুল ইসলাম, নয়ন হোসেন ও মো. সাগরসহ অন্তত আরও ২৫ জন এসে রশিদুলের কাছে থেকে ১০ হাজার হ্যান্ড পোস্টার ছিনিয়ে নেন। তারা রশিদুলের শার্টের কলার ধরে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি মারে। পরে একই দিন বিকেলে রশিদুলের বাড়ির সামনে আসেন হামলাকারীরা। সেখানে তার পথরোধ করে ফের হামলার চেষ্টা করলে রশিদুল পালিয়ে যান।
উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রশিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে অজয় কুমার সরকারের হয়ে কাজ করার পর থেকে আমার ওপর হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছিল। বুধবার ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন আমাকে মারধর করে হ্যান্ড পোস্টার কেড়ে নিয়েছে। তারা হুমকি দিয়ে বলেছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাঁচি প্রতীকের প্রচারণা থেকে সরে আসতে হবে। না হলে জানে মেরে ফেলবে।
কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অজয় কুমার সরকার বলেন, আমার কর্মীদের একের পর এক ভয় দেখাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করার প্রস্তুতি চলছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদীকে ফোন করা হয়। কিন্তু তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আমরা অভিযোগটি তদন্ত করব। তদন্তের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন