ঝিনাইদহ-২ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে ও বুধবার রাতে সদর উপজেলার গান্না বাজারে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের ঈগল প্রতীকের সমর্থক পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মোস্তফা মন্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান টুকু ও সদর উপজেলার গান্না ইউনিযনের খালকোলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আলাউদ্দীন।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, সকালে ফসলের মাঠে যাচ্ছিলেন হাফিজুর রহমান টুকু। তিনি ঝড়ুর মোড়ে পৌঁছালে নৌকার স্থানীয় এজেন্ট ও কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফুদ্দৌলা ঝন্টুর নির্দেশে আব্দুর রহিমের ছেলে দুলাল মটরসাইকেলযোগে দলবল নিয়ে এসে হাতুড়ি, লোহার পাইপ ও রামদা দিয়ে টুকুকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন টুকু অভিযোগ করেন, নৌকার সমর্থক দুলাল তাকে হত্যার জন্য মাথা লক্ষ্য অরে বেশ কয়েকটি কোপ মারে। আর এই চক্রান্তের সঙ্গে পুরোপুরি ঝন্টু চেয়ারম্যান জড়িত।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকৎসক ডা. আশরাফুজ্জামান সজিব জানান, টুকুর দুই পায়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হলেও পঙ্গুত্ব বরণের ঝুকি রয়েছে।
এদিকে বুধবার রাতে গান্না বাজারে মন্টু মাস্টার মার্কেটে আলাউদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মা টেলিকমে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নৌকার সমর্থকরা দোকানের কম্পিউটার ভাঙচুর ও দোকানের মধ্যে লুটপাট চালিয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসসাধীন আহত আলাউদ্দিন জানান, তিনি নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এ সময় গান্না ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথা, তার ছেলে সাগর হোসেন, কাশিমপুর গ্রামের বাচ্চু জোয়ার্দারের ছেলে শামাউল, দুর্গাপুরের মৃত ছামুর ছেলে লিটন, পোড়াবেতাই গ্রামের মহসিনের ছেলে জাহাঙ্গীর, আইনুদ্দিনের ছেলে তারেক, কোটচাঁদপুর উপজেলার তালিনা গ্রামের মৃত বাবুর ছেলে রুবেল, অমরি দাসের ছেলে রুপ কুমার, চান্দেরপোল গ্রামের ইদবারের ছেলে শান্তি, আমলের ছেলে রিংকু, মাধবপুর গ্রামের মোস্তফা, পোড়াবেতাই গ্রামের মোতালেবের ছেলে নাসির ও তোতা তার ওপর দেশীয় অস্ত্র, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়। তিনি ঈগলের ভোট করার কারণে তার ওপর এই হামলা বলে আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দীন জানান, ঘটনা শোনার পর পরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন