প্রায় এক সপ্তাহ তেমন ঠান্ডা অনুভূত হয়নি। কাঁপেনি শরীর। কিন্তু শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর হঠাৎ হিম বাতাস বইতে শুরু করে উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। তাপমাত্রার পরিমাণ কম না থাকা সত্ত্বেও ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা।
বছরের শেষ দিন রোববার ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আকাশ। তার সাথে বইছে হিমেল বাতাস। অবশ্য সময় গড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কেটে যাচ্ছে, থাকছে মেঘলা আকাশ, শুধু বইছে হিম বাতাস।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সকালে বদলগাছি আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়্যারলেস সুপারভাইজার প্রদীপ কান্তি রায় কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রদীপ কান্তি রায় বলেন, মাঝে মাঝে কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হয়ে থাকে। এর ফলে তাপমাত্রা কমে যায়। তাপমাত্রা ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে আগামী দিন আবহাওয়ার তাপমাত্রা তেমন পরিবর্তন হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তরের এ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল, যা এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
অপরদিকে ঠান্ডা বাতাসে চরম বেকায়দায় পড়েছে খেটে-খাওয়া দিনমজুর মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে বাইরে বের হয়ে কাজ করা কঠিন হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে অসহায়, হতদরিদ্র, ছিন্নমূল মানুষ আছে চরম বেকায়দায়। তবুও খেটে-খাওয়া ও দিনমজুররা পেটের তাগিদে বের হয়ে মাঠঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে বের হচ্ছেন। প্রচণ্ড শীতকে উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন তারা। তাই শীতের এ মৌসুমজুড়ে নওগাঁ ও তার আশপাশে ঠান্ডা বাতাসবিহীন থাকুক এমনই প্রত্যাশা ওই সকল খেটে খাওয়া মানুষের।
মন্তব্য করুন