রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৩৩টি আসনের ৩ হাজার ৮৩টি ভোটকেন্দ্র প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) বলে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব কেন্দ্রে পুলিশ-আনসারের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। একই সঙ্গে বাড়ানো হবে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ টিমের সংখ্যাও। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রংপুরের ৬টি আসনের ৮৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১৫টি কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়েছে। গাইবান্ধার ৫টি আসনে ৬৪৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৬৮টি কেন্দ্রে, কুড়িগ্রামের ৪টি আসনের ৭০২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১৭টি কেন্দ্র, লালমনিরহাটের ৩টি আসনের মধ্যে ৩৬৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৫১টি, নীলফামারীর ৪টি আসনের ৫৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১১টি, দিনাজপুরের ৬টি আসনের মধ্যে ৮৩০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৯৯টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি আসনের মধ্যে ৪১৭টি কেন্দ্রের ৩৫৩টি এবং পঞ্চগড়ের ২টি আসনের ২৮৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
সূত্রটি জানায়, রংপুরের ৬টি আসনে ১ হাজার ৬২০, গাইবান্ধার ৫টি আসনে ১ হাজার ৫৬২, কুড়িগ্রামের ৪টি আসনে ১ হাজার ৭১৯, লালমনিরহাটে ৩টি আসনে ৯১১, নীলফামারীতে ১ হাজার ৩২৯, দিনাজপুরের ৬টি আসনে ১ হাজার ৯৯২, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসনে ১ হাজার ১১ এবং পঞ্চগড়ের ২টি আসনে ৮০৩ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
জানা গেছে, সাধারণ কেন্দ্রে অর্থাৎ যেসব কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার কোনো ধরনের সম্ভাবনা নেই, এসব কেন্দ্রেও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন জানান, সাধারণ কেন্দ্রে বা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা নির্বাচন কমিশন থেকে গাইডলাইন দেওয়া আছে। আমরা সেই গাইডলাইন ফলো করব। তা ছাড়া নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যা প্রয়োজন আমরা সবই করব, সেই প্রস্তুতি আমাদের আছে।
মন্তব্য করুন