কেন্দ্রে জাল ভোটের কথা স্বীকার করেছেন আবদুল জলিল নামে লালমনিরহাটে এক ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই প্রিসাইডিং অফিসার।
রোববার (৭ জানুয়ারি) লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী ও কালিগঞ্জ) আসনের কালিগঞ্জ উপজেলার ভুল্যারহাট আশরাফিয়া দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ভোটের দিন সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন স্বীকারোক্তি করেন।
স্থানীয় সাংবাদিকদের দেওয়া ওই ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তারা জোর জবরদস্তি করেছিল, আমরা অনুরোধ করেছি, আপনারা এ করম করবেন না, আমাদের পক্ষে সম্ভব না। জোর জবরদস্তি করে তারা দুই একটা ভোট বেশি দিয়েছে। জাল ভোট দেওয়ার এমন স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য এখন নেট দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ওই কেন্দ্রের ৩নং বুথে রোববার ভোট চলাকালীন সময় বেলা ১২টার দিকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে থাকা ভোটার তালিকা বইয়ের টিক চিহ্নের সাথে ভোটার ব্যালট পেপারে ভোটারদের স্বাক্ষর করা সিরিয়ালে গরমিল পায় স্থানীয় সাংবাদিকরা। এ সময় ভোটার ব্যালট পেপারের স্বাক্ষর হিসাব করে ২০৯টি পাতা পাওয়া গেলেও ভোটার তালিকা বইয়ের টিক চিহ্ন হিসাব করে পাওয়া যায় ১৭৭টি।
এ সময় হিসাবের বাইরে ৩২টি ভোট কীভাবে পড়েছে এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেনি ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
এদিকে খবর পেয়ে টহল পুলিশ ওই কেন্দ্রে ছুটে এলে দ্রুত সরে যায় কেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান নেওয়া লোকজন।
এ সময় জাল ভোটের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা যেখানেই খবর পাচ্ছি, তাৎক্ষণিক সেখানে ছুটে যাচ্ছি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।
মন্তব্য করুন