মাঘের প্রথম সপ্তাহের শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটবাসী। গত দুই দিনের হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। কুয়াশার সঙ্গে অব্যাহত হিমেল হাওয়ায় শীত বেড়েছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতভর পড়েছে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। দেখা মিলছে না সূর্যের। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কনকনে ঠান্ডা আরও কিছু দিন থাকবে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শীতে কৃষিনির্ভর তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে বিপাকে। প্রচণ্ড শীতেও শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষজন বের হচ্ছেন জীবিকার সন্ধানে। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় আরও বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা। প্রচণ্ড শীতে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় শীতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, শীতের কারণে কয়েক দিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ চলছে। বরাদ্দকৃত দুই দফায় পাওয়া মোট ২৮ হাজার কম্বল বিতরণ শেষের দিকে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন