কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে দক্ষিণ বন বিভাগ ও কাপ্তাই পাল্পউড বিভাগের আওতাধীন রাজস্থলী, বাঙ্গালহালিয়া, আরাছড়ি, চাকুয়াসহ বিভিন্ন রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকা। কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেটের পাচারকাজ সক্রিয় থাকায় উজাড় হচ্ছে কাপ্তাইয়ের সংরক্ষিত বনের মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ। অভিযোগ উঠেছে, রাত হলেই অস্ত্রের মহড়ায় জিপ গাড়ি ও মিনি ট্রাকযোগে কাঠ পাচারে সক্রিয় হয়ে ওঠে চাকুয়া, রাইখালী, কারিগড় পাড়া, ডংনালা, খন্তাকাটা, মতিপাড়াসহ বিভিন্ন পাহাড়ি পথ এলাকার সড়কগুলো।
অবাধে এমন কাঠ পাচারের মহোৎসব চললেও যেন দেখার কেউ নেই। উল্লিখিত এলাকাগুলো দিয়ে বন উজারের ঘটনার ফলে বনসম্পদ ধ্বংস, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের হুমকিতে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। যে কারণে খাদ্যের অভাবে এখন লোকালয়ে দেখা মিলে বন্যহাতি ও জীব জন্তুদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সাবেক বন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের অধিকাংশেরই অভিযোগ, বছর কয়েক আগেও পার্বত্য কাপ্তাইয়ের বনাঞ্চলে গহিন অরণ্য ছিল। এসব বন জঙ্গলে দেখা মিলত বিভিন্ন পাখিসহ হরেক রকমের বন্যপ্রাণীর। কিন্তু কাপ্তাই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সাম্প্রতিক মাত্রাতিরিক্ত বন উজারের ফলে জীববৈচিত্র্যের আভাসস্থল ক্রমেই নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে আব প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ধ্বংস হচ্ছেই।
তারা আরও বলেন, বন উজার বন্ধে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের ও যৌথ বাহিনীর প্রচেষ্টায় অস্ত্রসহ আটক এবং হাজার হাজার ঘনফুট কাঠ জব্দ করা হয়। ফলে রিজার ফরেস্ট থেকে কাঠ পাচার বন্ধ হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পর আবারও কাঠ পাচার সিন্ডিকেটের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে যৌথবাহিনীর টহল ও অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানান পরিবেশবাদীদের।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন