টেকনাফ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৩ এএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মিয়ানমার সীমান্ত এখন শান্ত, ফের গোলাগুলি শুরুর আশঙ্কায় আতঙ্ক

টেকনাফ সীমান্ত এলাকা। পুরোনো ছবি
টেকনাফ সীমান্ত এলাকা। পুরোনো ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পূর্ব ও দক্ষিণাংশের ওপারে মিয়ানমার সীমান্ত এখন অনেকটা শান্ত। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার পর থেকে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইনে কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। এতে স্বস্তি দেখা দিয়েছে টেকনাফ সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনের মধ্যে। তবে আবার কখন গোলাগুলি শুরু হয়, সেই আতঙ্ক রয়ে গেছে।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এখন রাখাইনের যে স্থানগুলোতে সংঘাত হচ্ছে, তার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্তে তেমন পড়ছে না। মাঝে-মধ্যে টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন স্থান থেকে গুলির শব্দ শোনা গেলেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো গোলাগুলি হয়নি।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের ওই পারে মংডু শহরের আশপাশে এলাকায় প্রচুর গোলাগুলি হয়েছে। পাশাপাশি বিকট শব্দে কেঁপে উঠছিল টেকনাফ সীমান্ত। পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, কক্সবাজারের উখিয়ার রহমতের বিল, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত থেকে সোমবার দুপুরের পর থেকে কোনো গুলি বা মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়নি। তবে তারা উদ্বিগ্ন, পরিস্থিতি যে কোনো মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে।

টেকনাফে হোয়াইক্যং উলুবুনিয়া সীমান্তের বাসিন্দা মো. ইদ্রিস বলেন, গত দু-তিন দিন ধরে মিয়ানমারের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলিতে আমরা আতঙ্কে ছিলাম। তবে মঙ্গলবার কোনো গোলাগুলি হয়নি ও গুলির শব্দ পাইনি আমরা।

টেকনাফের হ্নীলা, নয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবির টহল জোরদার রয়েছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, সোমবার সকাল ১০টা থেকে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। তবে দুপুরের পর থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো গোলাগুলি বা মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়নি। আগের চেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তে সংঘাতের বিষয়টি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তবে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে যাতে এখানে কোনো সমস্যা না হয়, এ জন্য বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছোট ছোট দলে আসা এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ইতোমধ্যে রুখে দিয়েছে বিজিবি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কলকাতায় নিরাপত্তা নিয়ে ‘গুরুতর হুমকি’ অনুভব করেন মেসি

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম নীরব ক্ষতি করছে আপনার চোখ ও মস্তিষ্কের

জীবনহানির শঙ্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের জিডি

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি ছিল অগ্রভাগে : সাঈদ আহমেদ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে গোলাগুলি, অভিযুক্ত বাবা-ছেলে

এভারকেয়ার থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া হচ্ছে ওসমান হাদিকে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণসহ ৫ দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

আইপিএলে পুরো মৌসুমে নেই বাংলাদেশিরা, নিলামে দল পাওয়া নিয়ে সংশয়

লবণ খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসক

১০

নিজ বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হলিউড নির্মাতা দম্পতির

১১

ডিবি হেফাজতেই আনিস আলমগীর, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

১২

সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

১৩

নৌপরিবহন উপদেষ্টা / জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত

১৪

বন্ডি বিচে সন্ত্রাসী হামলা / ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বললেন মাইকেল ভন

১৫

এক কলেজ থেকে মেডিকেলে সুযোগ পেলেন ৪৫ শিক্ষার্থী

১৬

দিল্লিতে ঘন কুয়াশা, ফ্লাইট চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন

১৭

দেশে মৌলবাদী চক্রের সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে : সেলিমুজ্জামান

১৮

মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আপিল আজ

১৯

মালদ্বীপে কাভা কাপে অংশ নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ নারী ভলিবল দল

২০
X