জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেছেন, বাইরে থেকে যারা আমদানির সঙ্গে জড়িত তারা সবাই প্রায় সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের। এমনিতেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। যে কারণে সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে চারদিনের সফরে এসে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যর্থ। দেশের বেশিরভাগ দ্রব্য আমদানিনির্ভর। আমদানি করতে যে সক্ষমতা দরকার তা দেশের অনেক ব্যবসায়ীর মধ্যেই নেই। যাদের বৈধ-অবৈধ টাকা আছে, তারাই আমদানির সুযোগটা নিচ্ছেন। আর এ সুযোগটা নিচ্ছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী।
দেশের মানুষ ভালো নেই জানিয়ে তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দামে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার চাইলেই এখন পণ্যের দাম কমা-বাড়া করতে পারবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকা দরকার। এ প্রতিযোগিতা না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
সম্প্রতি রওশন এরশাদের কাউন্সিল প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, যারা জাতীয় পার্টির নামে বেআইনি কিছু করছেন, তাদের হল ভাড়া ও অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়ে সরকার তাদের কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বেআইনি কাজে পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ না হলে দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্ত হবে। এতে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা এসব করছেন, তারা বেশিরভাগই জাতীয় পার্টির কেউ না। তা ছাড়া এসব আইনি কোনো কাঠামোর মধ্যে থেকে হচ্ছে না। এসব বেআইনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংসদের সমাপনী ভাষণে আমি বলেছি, নির্বাচন আইনগতভাবে হয়েছে, তবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। নির্বাচনে জনগণের চাওয়া পাওয়া প্রতিফলিত হয়নি। নির্বাচনটা ফ্রি স্টাইলে হয়েছে। তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে। কোথাও পূর্ব নির্ধারিত ছিল, আবার কোথাও সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলন হয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। জাতীয় পার্টি এখন পর্যন্ত সবধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নেবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় নেতা আজমল হোসেন লেবু ও লোকমান হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন