উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন থেকে ইউনিয়ন পরিষদের ‘হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে রিটকারী ভুক্তভোগীরা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- গান্না ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা নাসরিন আক্তার, শৈলকুপার হাকিমপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা আবু দাউদ, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের শাহিন সিরাজ, উমেদপুর ইউনিয়নের মোস্তাফিজুর রহমান, বগুড়া ইউনিয়নের উদ্যোক্তা সুমি আক্তার, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা রিনিতাজ খাতুন, সারুটিয়া ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মাহফুজুর রহমান, বিলকিস খাতুন ও নূর নবী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদে ২০১০ সাল হতে কর্মরত আছি। কিন্তু ২০১৬ সালে সরকার ‘হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর’ পদ সৃষ্টি করে ১৩টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে দশ জন উদ্যোক্তা উচ্চ আদালতে রিটপিটিশন দায়ের করেন। ফলে হাইকোর্ট চলতি বছরে ২৩ জানুয়ারি রুল ইস্যু করে ৬ মাসের জন্য ‘হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। অন্যদিকে মামলার বিপরীতে স্থানীয় সরকার পক্ষ লিভ টু আপিল দাখিল করেন। আগামী ৬ মে শুনানির জন্য সুপ্রিমকোর্ট দিন ধার্য করেন।
রিটকারীদের দাবি উচ্চ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার পরও চলমান একটি মামলার বিপরীতে তড়িঘড়ি করে শুক্রবার এ নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী।
উদ্যোক্তা আবু দাউদ জানান, প্রায় ১৪ বছর যাবত উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা আমাদের জীবন যৌবন শেষ করে দিয়েছি। অথচ সুপ্রিমকোর্টের আদেশের তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে কার্যত উচ্চ আদালতকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আদালতের কোনো বিধিনিষেধ নেই। সে কারণেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন