রুবেল মিয়া নাহিদ, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৪ পিএম
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তীব্র গরমে পিরোজপুরের হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ

মঠবাড়িয়া ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড়। ছবি : কালবেলা
মঠবাড়িয়া ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড়। ছবি : কালবেলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে তীব্র গরমে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এদিকে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। ১০০ শয্যার কাজ চলমান থাকায় প্রচণ্ড গরমের মধ্যে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে রোগীদের। এতে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেওয়া দিয়েছে।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে তীব্র দাবদাহে স্বাভাবিক জনজীবনে ভোগান্তি নেমেছে। গত প্রায় ১৫ দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪২ সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। ফলে জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগী। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

আউটডোরে দেখা গেছে, অনেক রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, কেউ বা আবার ফেরত যাচ্ছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে সুযোগ-সুবিধা না থাকার কারণে। হাসপাতালে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের ৯ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। তা ছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য আক্রান্তের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো।

শিশু ওয়ার্ডে সন্তান সুমাইয়াকে নিয়ে বসেছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলার বুড়িরচর গ্রামের তন্নী খাতুন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার চার মাস বয়সী বাচ্চার হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি -কাশি। ২৫ তারিখ থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছি। প্রচণ্ড গরমে বাচ্চার কষ্ট হচ্ছে। হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছি। ডাক্তাররা ঠিক মত দেখতে আসেন না। গরমে আমার বাচ্চা অনেক কষ্ট পাচ্ছে। বাচ্চার পায়ে পরানো ক্যানেলা বারবার কেটে যাচ্ছে। নার্সদের কাছে গেলে তারা বিরক্ত বোধ করছেন- এমন অবস্থায় চিকিৎসা নেওয়াটা খুবই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

অপর আরেক রোগীর দাদি ফাহিমা আক্তার (৫০) বলেন, আমার বাড়ি মঠবাড়িয়ার চান্দুখালীতে। আমার নাতি সিয়াম অসুস্থ। বয়স পাঁচ বছর। নিউমোনিয়া হয়েছে। গত ৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ভালো চিকিৎসা পাচ্ছি না। রাতের বেলা অনেক জ্বর উঠলেও নার্সদের ডাকলে তাদের কোনো সাড়া পাই না বরং আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। আমরা সবসময় সরকারি হাসপাতালে ভালো স্বাস্থ্যসেবা পেতে চাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ফেরদৌস ইসলাম বলেন, তীব্র দাবদাহের রোগীর চাপ রয়েছে, তাই তাদের সেবার মানোন্নয়নের জন্য মিটিং করেছি। আমাদের এখানে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি সহ অনেক রোগী ভর্তি রয়েছেন। একবারের জায়গায় তিনবার করে ডাক্তারদের রাউন্ড দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ভর্তিকৃত রোগীরা অধিকাংশই চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। রোগীদের মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে শিশুদের বিষয়ে বেশি যত্নবান হতে হবে। এ বিষয়ে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়াও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়া থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রোটিয়া টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন মহারাজ-মিলার

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, জামিন দেওয়ায় বাদীর ক্ষোভ

রাশিয়ার পারমাণবিক প্লান্টে আগুন

এশিয়া কাপের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা করল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ

মেডিকেলে ‘আনফিট’ রিপোর্টে ভেঙে গেলে নবদম্পতির সংসার

যুদ্ধ সক্ষমতা ও বিশেষ প্রযুক্তি দেখাল উত্তর কোরিয়া

জঙ্গলে রহস্যময় জ্বলন্ত গাড়িতে পাওয়া গেল ২ পুরুষের মরদেহ

ডাকাতি করে পালানোর সময় ২ জনকে গণপিটুনি

দুঃসময় যেন পিছুই ছাড়ছে না পাক তারকা ক্রিকেটারের, এবার যেন হারাবেন পদটাই

১০

হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ে যা জানা জরুরি

১১

বিপাকে স্বরা ভাস্কর

১২

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৩

মাঝ আকাশে নগ্ন অবস্থায় ধরা বিমানবালা

১৪

মরদেহ দাফনের পর জীবিত ফিরে এলো রবিউল!

১৫

সারাক্ষণ চার্জার প্লাগে রাখেন? জেনে নিন কী হতে পারে

১৬

এশিয়া কাপে ভারতের একাদশ কেমন হবে, জানালেন তারকা ক্রিকেটার

১৭

বায়ুদূষণের শীর্ষে দুবাই, ঢাকার অবস্থান কত

১৮

মোদিকে আদর্শগত শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করলেন বিজয়

১৯

কেবিন ক্রুদের আসল কাজ কী

২০
X