আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্ত্র মামলার কিছুসংখ্যক আসামিকে এখন ভোটের মাঠে সরব দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন সুবর্ণচরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কয়েকটি অস্ত্র মামলার চিহ্নিত আসামি জসিম উদ্দিন রায়হান ওরফে রায়হান মেম্বার। তার বিরুদ্ধে চুরি, সন্ত্রাসী এবং অস্ত্র মামলাসহ বেশকিছু মামলা চলমান।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ চরজব্বর থানা পুলিশ তাকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। কিন্তু ২ সপ্তাহ যেতে না যেতেই তিনি জামিনে বের হয়ে এসেই ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জানা যায়, তার জামিনের পেছনে ভূমিকা রেখেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি এ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে তার ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর পক্ষে ভোটের মাঠে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
আর এ অভিযোগ করেছেন- এমপিপুত্রের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধানে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ভোটাররা জানান, জসিম উদ্দিন রায়হান মেম্বার ৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে এমপিপুত্র আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর পক্ষে কেন্দ্রপ্রধান নিয়োজিত হন। ৯নং ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ভোট।
এমন একজন সন্ত্রাসীকে কেন্দ্রপ্রধান করায় স্থানীয় ভোটারদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভোটাররা এও প্রশ্ন করেন- এমন একজন সন্ত্রাসী এত দ্রুত কীভাবে জামিন পেয়ে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, রায়হান মেম্বার সাধারণ ভোটারের বাড়িতে গিয়ে শাসিয়ে আসেন। আর ভোটারদের বলেন- আনারস মার্কায় ভোট দিলে কেন্দ্রে যাইয়ো, তা না হলে যাওয়ার দরকার নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন রায়হান মেম্বার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা সজাগ আছি, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন