নাটোরের গুরুদাসপুরে সাড়ে ৭ শতাংশ জমির জন্য গৃহবধূ নাহার বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্ৰেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (২০ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের সোনাবাজু গ্রাম থেকে তাদের গ্ৰেপ্তার করা হয়।
গ্ৰেপ্তার চারজন হলেন- মো. মাজেম আলী, ফিরোজ হোসেন, শাহানুর, আব্দুল মতিন।
এর আগে গৃহবধূ নাহার বেগম হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
নাটোর র্যাব-৫ সিপিসি-২ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু পাটপাড়া গ্রামের নাহার বেগমের একই এলাকার লোকমান সাকিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর লোকমান সাকিদার নাহারের নামে সাড়ে ৭ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিল করে দেয়। পরে লোকমান সাকিদার প্রায় ২ বছর আগে তারা বেগম নামের আরেক নারীকে বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে লোকমান সাকিদার নাহারের কাছ থেকে জমি নিতে নাহারকে নির্যাতন করতেন।
নাহার অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার স্বামীর বাড়ি থেকে বড়াইগ্রাম উপজেলার পারকোল গ্রামের আজমি আরা বেগম নামে এক নারীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শনিবার (১১ মে) দুপুরে লোকমান সাকিদার ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী তারা বেগমকে নিয়ে আজমি আরা বেগমের বাড়িতে গিয়ে নাহার বেগমকে সঙ্গে নিয়ে বনপাড়া উপজেলার নওপাড়ায় রওনা হয়।
সোমবার (১৩ মে) লোকমান সাকিদার একই গ্রামের দুলাল প্রাংক নামে একজনকে জানান, নাহার বেগমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে নাহারের পরিবার জানতে পারে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর বেড়পাড়া গ্রামের পানির ট্যাংকের পাশে নাহারের মরদেহ পড়ে আছে। অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত নাহারের ভাই আজাদ প্রামানিক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে মাজেম আলী, ফিরোজ হোসেন, শাহানুর, আব্দুল মতিনকে গ্ৰেপ্তার করে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউল আজম কালবেলাকে বলেন, নাহার হত্যা মামলায় এর আগে পুলিশ মূল অভিযুক্তসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার র্যাব বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করেছে। আসামিদের সোমবার (২০ মে) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন