জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন উপজেলা আ.লীগ সভাপতি শাহীনা হোসেন। মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে বকশিগঞ্জ উপজেলায় চার প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৯৮ জন।
নির্বাচনে মোট ৬৮ হাজার ৬ ভোট পড়েছে। যা শতকরা ৩৬.৬৫ ভাগ। যে পরিমাণ ভোট গ্রহণ হয়েছে তার ১৫ ভাগের ১ ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ৪ হাজার ৫৩৪ ভোট। কিন্তু বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা হোসেন (আনারস) পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৩ ভোট। তাই তিনি জামানত হারাচ্ছেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার জামালপুরের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনীবিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। বেসরকারি ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী জামালপুরে এ চেয়ারম্যান প্রার্থী তার জামানত হারাচ্ছেন।
২০১৭ সালে শাহীনা হোসেন বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েও হেরেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহীনা হোসেন কালবেলাকে জানান, আমার ভোটাররা সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেননি। ভোটারদের তার প্রতীক আনারসে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ইউএনওকে জানিয়েও প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত বলেন, ইভিএমে ভোট হয়েছে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। অনিয়মের কোনো সুযোগ ছিল না।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, নজরুল ইসলাম (সাত্তার) ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রউফ তালুকদার (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০৯ ভোট পেয়েছে।
এই উপজেলায় জহুরা বেগম (হাঁস) প্রতীকে ৩০ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং মো. শাহজামাল (টিউবওয়েল) প্রতীকে ৩০ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন