বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত

বগুড়ায় বৃষ্টিপাতে সড়কে জমে গেছে পানি। ছবি : কালবেলা
বগুড়ায় বৃষ্টিপাতে সড়কে জমে গেছে পানি। ছবি : কালবেলা

বগুড়ায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (২২ মে) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ বৃষ্টিপাত।

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। গত বছর ১২ মে জেলায় সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।

এদিকে এই বৃষ্টিতে সড়কে হাঁটু পানি জমে গেছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় শহরবাসীর। বগুড়াবাসীরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না হলে মিলবে না সুফল।

শহরের সাতমাথা থেকে কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, শেরপুর সড়ক, স্টেশন সড়ক, পার্ক রোড, শেরপুর সড়কের কলোনী বাজার এলাকায়, খান্দার সড়ক, গালাপট্টি সড়ক, টেম্পল সড়ক ছাড়াও কাঁঠালতলা ফতেহ আলী বাজার সড়ক, নওয়াববাড়ি সড়ক, চকযাদু ক্রস লেন-বাদুরতলা সড়ক, বড়গোলা, কাটনারপাড়া সড়কে ছিল হাঁটুপানি। এসব সড়কের দুই পাশের নালার ময়লা-আবর্জনায় ভরা নোংরা পানি উপচে পড়ে সড়কে। সড়ক ছাপিয়ে সেই পানি ঢুকে পড়ে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও।

বগুড়া শহরে বৃষ্টির পানি জমে দুর্ভোগের চিত্র দীর্ঘদিনের। বনানী থেকে মাটিডালি পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের নালা অত্যন্ত সরু। এই নালা সারা বছর ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকে। সামান্য বৃষ্টিতেই নালার পানি উপচে সড়কে ওঠে আসে। শহরের অন্য সড়কেও পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত নালা নেই। এ ছাড়া করতোয়া নদীর দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় শহর থেকে পানি বের হতে পারছে না। বর্ষার সময় সবচেয়ে করুণ চিত্র থাকে শহরজুড়ে।

বগুড়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরে বিভিন্ন সময় ড্রেন পরিস্কার করলেও পরে আবারও ময়লা-আবর্জনা দিয়ে ভরে যায়। শহরের অধিকাংশ সড়কে নতুন করে ড্রেন সংস্কার করা হয়েছে। যে স্থানে সমস্যা রয়েছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তুরাগের চার ওয়ার্ড বিচ্ছিন্নের ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না : মোস্তফা জামান

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আমেরিকান প্রবাসী মিঠুর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

যশোর-৬ আসন অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে গণমিছিল

কুকুরকে খাবার খাওয়ানোর কারণে নারীকে ৩৮ সেকেন্ডে ৮ বার থাপ্পড়!

টেকনাফ সীমান্তের ওপারে আবারও গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক

চাঁদাবাজি করলে বহিষ্কারের পাশাপাশি স্থান হবে কারাগার : নীরব

রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ

বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে যে রেকর্ড গড়লেন রোনালদো

আবারও ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

উপদেষ্টা মাহফুজ বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানালেন বাবা আজিজুর

১০

‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শিশু ছোঁয়াকে আছড়ে হত্যা করে ফুপাতো ভাই’

১১

সড়ক পরিহার করে সভা-সমাবেশ করার অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের

১২

আমরা সবাই বাংলাদেশি, এর বাইরে কোনো পরিচয় নেই : জিলানী

১৩

জামদানি পল্লী পরিদর্শনে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

১৪

উৎসবমুখর পরিবেশে নর্দান ইউনিভার্সিটিতে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ

১৫

বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক টাকা বেতনে নার্স নেবে কুয়েত

১৬

সংবিধানের ওপরে জুলাই সনদ প্রাধান্য পেতে পারে না : গণফোরাম

১৭

ঢাবি উপাচার্যের বক্তব্য ‘বিকৃতভাবে’ উপস্থাপনের প্রতিবাদ কর্তৃপক্ষের

১৮

হাজার হাজার মার্কিনি নিচ্ছেন মেক্সিকোর নাগরিকত্ব

১৯

যাদের জনসমর্থন নেই, তারাই পিআর চায় : এসএম জাহাঙ্গীর

২০
X