নোয়াখালী ব্যুরো ও উপকূলীয় সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাতিয়ায় নিঝুম দ্বীপ, পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নিঝুম দ্বীপে নানা তৎপরতা। ছবি : কালবেলা
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নিঝুম দ্বীপে নানা তৎপরতা। ছবি : কালবেলা

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া জোয়ারে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়।

হাতিয়ার চারপাশে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১০ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৯ ওয়ার্ডের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এ ছাড়াও হাতিয়ার তমরুদ্দি ও চরকিং ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে ৩-৪ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি ঢুকছে।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণ, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে পুরো নিঝুম দ্বীপ প্লাবিত হয়েছে। ফলে এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে ঘরবাড়িগুলোতে। বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয় নিঝুম দ্বীপ।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম মিয়া বলেন, বন্দর কিল্লা, নামার বাজার, ইসলামপুর ও মোল্লা গ্রামসহ পুরো নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। পানিতে ভেসে গেছে গবাদিপশুর খাদ্য ও মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে শাকসবজিসহ নানা ফসলের জমি।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দিনাজ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ নেই তাই সকাল থেকে এখানে জোয়ারের পানি উঠেছে। বিকেলেও জোয়ার কেবল বাড়ছেই। মানুষ পানিবন্দির পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে। রাস্তাঘাট সব তলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপের সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীষ চাকমা বলেন, জোয়ার এখনো চলমান আছে। আমরা এ মুহূর্তে ক্ষতির পরিমাণ বলতে পারছি না। নিঝুম দ্বীপের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা খোঁজ রাখছি। কোথাও কোনো ক্ষতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে দুপুরের পরে জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানের নির্দেশনা মোতাবেক ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এবং দুর্যোগ পরর্বতী উদ্ধারসহ অন্যান্য নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশ লাইন্স, ১০টি থানা, ফাঁড়িসহ মোট ২৬টি স্থাপনায় প্রায় ১০০০ পুলিশ সদস্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পাওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় ৯নং মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৭৫টি মুজিবকেল্লা। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৮ হাজার ৯১০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় রিমাল
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেরপুরে স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন, ক্ষোভে ফুঁসছেন তরুণরা 

অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নিবন্ধন পেলেন ৭ উদ্যোক্তা

ভিক্ষুকের ঘরে ২ বস্তা টাকা, গুনতে লাগল ৫ ঘণ্টা 

১০ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

গাজায় যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে 

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গাজা চুক্তিকে ইরান হামলার সঙ্গে যুক্ত করলেন ট্রাম্প

১০ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

নোয়াখালী বিভাগ চেয়ে ইতালিতে প্রবাসীদের স্মারকলিপি

কাবুলে বিস্ফোরণ, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যা বললেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ

১০

‘ওলামা-মাশায়েখদের ত্যাগ-কোরবানি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’

১১

যুদ্ধবিরতিতে গাজার ঘরে ঘরে আনন্দ, রাস্তায় মিছিল

১২

সচেতন হলে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব : চসিক মেয়র

১৩

২০ মাসে মামলার রায়, স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

১৪

ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারই জাতির একমাত্র লক্ষ্য : গয়েশ্বর

১৫

ঘুষি মেরে বিমানের মনিটর ভেঙে ফেললেন লন্ডন প্রবাসী

১৬

ইসরায়েলের যে কারাগারে বন্দি শহিদুল আলম

১৭

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, টিটিপি প্রধান নিহতের গুঞ্জন

১৮

বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল

১৯

এককভাবে সরকার গঠন করবে বিএনপি : এমরান চৌধুরী

২০
X