রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
আপডেট : ২৭ মে ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পাহাড়ধসের আশঙ্কা

রাঙামাটির পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি। ছবি : কালবেলা
রাঙামাটির পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি। ছবি : কালবেলা

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে পার্বত্যাঞ্চলে পাহাড়ধসের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর থেকে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানে শুরু হয়েছে মাইকিং। সতর্ক করা হয়েছে ঝুঁকিতে বসবাস করা মানুষকে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।

রাঙামাটিতে ঝুঁকি দেখলে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে মাইকিং করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় পৌরসভায় ২৯টি এবং ১০টি উপজেলায় ৩২২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনসমূহকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

সোমবার মধ্যরাত থেকে রাঙামাটিতে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে জেলার কোথাও কোনো ভারি বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি এবং কোনো পাহাড় ধসের খবর পাওয়া যায়নি।

রাঙামাটির শহরের ভেদভেদী, রূপনগর, শিমুলতলীসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে অন্তত ১০ হাজারের বেশিও মানুষ। বসবাসকারীরা বলছে, ভারী বর্ষণ হরে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে। ২০১৭ সালে রাঙামাটিকে পাহাড় ধসে ১২০ জন জনের মৃত্যু হয়।

অপরদিকে বান্দরবানেও শুরু হয়েছে থেকে থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় বান্দরবানে জেলা-উপজেলায় জরুরি সভা করা হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র।

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতেও শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শহরে ১০টিসহ জেলায় শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তবে তিন পার্বত্য জেলার কোথাও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে না। ভারী বৃষ্টি শুরু হলে ঝুঁকিতে থাকা মানুষেরা আশ্রয়কেন্দ্র আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান জানিয়েছেন, রাঙামাটিতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে স্বাভাবিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে স্বাভাবিক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনও।

ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপদ থাকতে কী করবেন?

ঘূর্ণিঝড়ের সময় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন, আর কী করবেন না-

১. বাড়ির কাছাকাছি থাকা মরা গাছের ডাল ছেঁটে ফেলুন। গাছের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। যাতে বাড়ির ওপর এসে না পড়ে।

২. টিনের পাতলা শিট, লোহার কৌটা যেখানে সেখানে পড়ে থাকলে এক জায়গায় জড়ো করুন। না হলে ঝড়ের সময় এর থেকে বিপদ হতে পারে।

৩. কাঠের তক্তা কাছে রাখুন যাতে কাঁচের জানালায় সাপোর্ট দেওয়া যায়।

৪. ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য জরুরি বৈদ্যুতিক যন্ত্র আগে থেকেই চার্জ দিয়ে রাখুন।

৫. হালকা শুকনো খাবার রাখুন বড়সড় বিপদের জন্য।

৬. পর্যাপ্ত পানি মজুত রাখুন।

৭. যে ঘরটি সবচেয়ে নিরাপদ সেখানে আশ্রয় নিন।

৮. বাড়ির পোষ্য ও গবাদি পশুদেরও নিরাপদ স্থানে এনে রাখুন।

৯. বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে টিভি খবরে নজর রাখুন। না হলে রেডিও চালিয়ে রাখতে পারেন।

১০. ঝড় থামতেই বাইরে বের হবেন না। অপেক্ষা করুন কারণ ঘূর্ণিঝড় চক্রাকারে ঘোরে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় রিমাল
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খেলার সময় পাগলা কুকুরের আক্রমণ, শিশুসহ আহত ১৬

৭৫ বছর বয়সে ডিগ্রি পাস, প্রশংসায় ভাসছেন সাদেক আলী

গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫৬ সেকেন্ডের মিছিল 

শখের বড়শিতে ২০ কেজির কোরাল

এসএসসি পরীক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত

কয়লা তৈরির কারখানায় অভিযান, ৩ লাখ টাকা জরিমানা

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থ্রিলারের ছোঁয়া, বার্সা-ইন্টার ম্যাচে ৬ গোলের উৎসব!

শতাধিক ভুয়া পেজে ‘অশ্লীল বিজ্ঞাপন’, বিব্রত ডা. জাহাঙ্গীর

স্বাস্থ্য পরামর্শ / বয়স বেশি হলে ডাউন শিশু জন্মদানের শঙ্কা বাড়ে

ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ

১০

প্রকৌশলীদের উন্নয়ন ও সংস্কার নিয়ে আইইবি’র মতবিনিময় সভা 

১১

সৈয়দপুরে শাটল বাস সার্ভিস চালু করল বিমান

১২

প্রকৌশলীদের অধিকার আদায়ে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৩

সার্জেন্ট হেলালের সাহসিকতায় ২ ছিনতাইকারী আটক

১৪

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ‘মহান মে দিবস’ আজ

১৫

নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, প্রশাসনের সতর্কতা

১৬

রাজধানী থেকে পুরনো যানবাহন সরাতে অ্যাকশনে নামছে বিআরটিএ

১৭

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনওকে বদলি

১৮

ববি প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে গায়েবানা জানাজা

১৯

স্কুলের ১৮টি গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

২০
X