জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জীবন্ত গাছ যখন বিদ্যুতের খুঁটি

রাস্তার পাশে গাছে ঝুলছে বিদ্যুতের তার। ছবি : কালবেলা
রাস্তার পাশে গাছে ঝুলছে বিদ্যুতের তার। ছবি : কালবেলা

রাস্তার পাশে গাছে ঝুলছে বিদ্যুতের তার। কোথাও খুঁটি নেই, গাছেই র‌্যাক দিয়ে টানা আছে লাইন। অনেক স্থানে জি.আই তার দিয়ে টানা হয়েছে লাইন। নীলফামারীর জলঢাকার বিভিন্ন স্থানে এসব ঝুঁকিপূর্ণ সংযোগের দেখা মেলে। তাতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। জীবন্ত গাছকে বিদ্যুতের খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের এ কাজকে ভালোভাবে দেখছেন না স্থানীয়রা।

স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, গাছের ডাল কেটে স্ট্যান্ড বসিয়ে যেনতেনভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টেনেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ঝুঁকিপূর্ণ এ লাইনের তার ছিঁড়ে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলার বেশকিছু এলাকায় দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক খুঁটির (খাম্বা) পরিবর্তে রাস্তার পাশে থাকা জীবন্ত বিভিন্ন গাছের সঙ্গে জি.আই তার দিয়ে টানা হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের মূল লাইন সংযোগ। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে অনেক প্রজাতির গাছ। আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। খাম্বা না থাকায় বৃষ্টি বা মাঝারি ধরনের বাতাস বইলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এই অবস্থা চলতে থাকলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন তারা। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করলেও সমস্যার সমাধান পাননি ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পৌর শহরের নেকবক্ত, চেরেঙ্গা, ডাকুরডাঙ্গা, ময়দানেরপাড়, বালাগ্রাম মন্তেরডাঙ্গা, বগুলাগাড়ী, কাকরা চৌপথীসহ অনেক এলাকায় গাছে গাছে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে লাইন স্থাপন করেছে নেসকো কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও পৌর শহরের কয়েকটি গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, গাছের সঙ্গে লাগানো অ্যাঙ্গেলে ঝুলছে বৈদ্যুতিক জি.আই তার। আবার কোথায় র‌্যাক ছাড়াই এসব তার দিয়ে টানা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

নেকবক্ত ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ঘোঘোপাড়া এলাকার বাসিন্দা ভ্যানচালক একরামুল ইসলাম জানান, সংযোগ নেবার সময় তাদের থেকে ৮ হাজার, ১০ হাজার এমনকি ১২ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। তার বাসার আশপাশে গাছের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের তার রয়েছে। তারা একাধিকবার স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে খুঁটি স্থাপন করে নতুন সরবরাহ লাইন দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তবে এতে কোনো কাজ হয়নি। বরং অফিসারের কথামতো লাইন প্রতি ১৫০০ টাকা দিয়ে কভার তার দিয়েছে তাও গাছের সঙ্গে পেঁচিয়ে।

এ ব্যাপারে আবাসিক প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলাম জানান, টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমি জানি না তবে, লাইনগুলো এলোমেলো আছে শুনেছি এবং দেখেছি। আমার আগের অফিসার এমনটা করেছে। এখন এগুলো ঠিক করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জন্মাষ্টমী : সাংবাদিকদের সাথে পূজা পরিষদের মতবিনিময় বৃহস্পতিবার

রাহুল গান্ধীকে হত্যার হুমকি

সাদা পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু

বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে উয়েফা সুপার কাপে

স্বর্ণ পাচারে জড়িত সেই কেবিন ক্রু রুদাবা সাসপেন্ড

ইতালি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ২৬ জনের মৃত্যু

অফিসে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে কী করবেন 

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালককে গুলির পর কুপিয়ে হত্যা

হাজার কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস 

চৌকি কোর্টে অভিযোগের হেল্পলাইন চালু

১০

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

১১

আ.লীগ পালিয়েছে ভারতে, আপনাদের পালাতে হবে পাকিস্তানে : টিপু

১২

গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় দুই কর্মকর্তাসহ ৮ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

১৩

জামিন পেলেন বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী

১৪

বাংলাদেশে নিজের বিচার নিয়ে টিউলিপের প্রতিক্রিয়া

১৫

সেনাপ্রধানের নামে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট, আইএসপিআরের সতর্কবার্তা

১৬

সাদা পাথর বাঁচাতে ৫ দফা সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

১৭

যুক্তরাষ্ট্রে বার্সা-ভিয়ারিয়ালের ম্যাচ নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের আপত্তি

১৮

টঙ্গীতে মানববন্ধনে হামলা, আহত ৫

১৯

গলায় চানাচুর আটকে শিশুর করুণ মৃত্যু

২০
X