ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় হামলার ঘটনায় ৬ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৯ জুন) রাতে শৈলকুপা থানার ডিউটি অফিসার এস আই লাল্টু রহমান বাদী হয়ে ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শৈলকুপা থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, হামলায় অংশ নেওয়া দুর্বৃত্তরা অধিকাংশ থলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়াও মনোহরপুর ইউনিয়নের বিজুলিয়া ও পৌরসভার বাসিন্দারাও এ হামলায় অংশ নেয়।
ওসি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। রোববার রাতে ধাওড়া গ্রামসহ শৌলকুপার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্থ ও প্রশাসন মো. ইমরান জাকারিয়া বলেন, একটি মারামারি মামলায় উপজেলার ধাওড়া গ্রাম থেকে আসামি মোস্তাক সিকদারকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে শৈলকুপা থানা পুলিশ। এরপর তার এলাকার কয়েক হাজার লোক এসে থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ইটের আঘাতে অন্তত ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড চালিয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পরপরই ধাওড়া গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। ধাওড়া বাজারের দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে ।
জানা যায়, শৈলকুপায় আওয়ামী লীগ কর্মী এজাহারভুক্ত আসামি ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র ও শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক সিক্দারকে পুলিশ রোববার দুপুরে আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
এর আগে শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর উপস্থিতিতে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আযম থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাকে গলায় গামচা পেঁচিয়ে থানা থেকে বিতাড়ন করার হুমকি দেন। তার এই হুমকির দুইদিন পর থানায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন