ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হতেই সাভারের তিন মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলার দিকে যাওয়ার সড়কগুলোতে পরিবহন চলছে ধীরগতিতে। তবে ঢাকাগামী লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেলের দিকে উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা ও আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়ক ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, সাভার বাসস্ট্যান্ড, বিশ মাইল, নবীনগর ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ, বাইপাইল, পলাশবাড়ী, বাড়ৈপাড়া, কবীরপুর, চক্রবর্তী, চন্দ্রা এবং আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের জামগড়া, ইউনিক, ছয়তলা, আশুলিয়া ও বেড়িবাঁধ মোড় এলাকায় যানবাহন চলাচলের ধীরগতি দেখা যায়। এসব বাসস্ট্যান্ডে তৈরি হয়েছে ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের জটলা।
অভিযোগ উঠেছে, পরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো ঈদযাত্রীরা।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর এলাকায় মানিকগঞ্জগামী লেনের দেখা মেলে যাত্রীর ঢল। বিশ মাইল এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাস না পেয়ে হেঁটে নবীনগর এসেছেন আক্তার হোসেন রানা নামে এক ব্যক্তি। তিনি যাবেন সিরাজগঞ্জে। স্বাভাবিকভাবে এই রুটে ভাড়া ২৫০-৩০০। তবে আজ বাসগুলো দাবি করছে ৭০০-১,০০০ টাকা। এরপরও বাসের সংকট। রানা বলেন, পরিবারসহ ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু বাস পাচ্ছি না। যাও পাচ্ছি অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে।
নবীনগর থেকে পাটুরিয়া যেতে যাত্রী ডাকছিলেন সোহাগ হোসেন নামে সেলফী পরিবহনের চালকের সহকারী। জানালেন, এর মধ্যে দুই ট্রিপ দিয়েছেন। তৃতীয় ট্রিপভর্তি করছেন। ঈদ উপলক্ষে একটু বেশি ভাড়া নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। সোহাগ বলেন, বাসে রাস্তায় আর কোনো যাত্রী তুলি না। আর সবাই এভাবে ভাড়া নিচ্ছে, আমরাও নিচ্ছি।
বগুড়া যেতে বাইপাইল থেকে একটি বাসে ওঠা পোশাক শ্রমিক আবু রায়হান বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর বাস পেয়েছি। ভাড়া দ্বিগুণ নিয়েছে। কিন্তু সময় সময় আরও ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে দেখে উঠে গেছি।
হাইওয়ে পুলিশ ও ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্র বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জানায়, নবীনগর এলাকায় মহাসড়কের প্রায় ২ কিলোমিটারজুড়ে যান চলাচল ধীরগতি রয়েছে। জামগড়া এলাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যান চলাচল করছে। এছাড়া বাইপাইল এলাকায় যাত্রী ওঠানামার কারণে পরিবহন জটলা রয়েছে।
সাভার হাইওয়ে পুলিশের ওসি আইয়ুব আলী বলেন, দুপুরের পর থেকেই মহাসড়কে যান চলাচল ধীরগতি রয়েছে। পুলিশ সদস্যরা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, সড়কে কোথাও সেভাবে আটকে থাকতে হচ্ছে না। ঘরমুখো মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সড়কে রয়েছে।
মন্তব্য করুন