পাথরবাহী ট্রাকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
সকাল ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের বউবাজার, টুকেরবাজার, লাছুখাল, থানাবাজার ও বর্নি এলাকায় সড়কের মাঝে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। এতে সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় তারা শ্রমিকদের মুক্তি ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদের প্রত্যাহার দাবি করেন।
জানা যায়, পর্যটন কেন্দ্রের ‘সাদাপাথর’ চুরি করে ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে- এমন খবর পেয়ে সোমবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের হাইটেকপার্ক এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পাথরবাহী একটি ট্রাকসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পরে মামলা দায়ের করে তাদের গেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে, পাঁচ ঘণ্টা সড়ক অবরোধের কারণে রোগীবাহী গাড়ী ও পর্যটকসহ হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেলা ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কোম্পানীগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কবির আহমদ কালবেলাকে বলেন, ভোলাগঞ্জ থেকে যারা পাথর চুরি করে পুলিশ তাদের আটক না করে আমাদের ট্রাক ড্রাইভার ও শ্রমিকেরা ভাড়ায় মালামাল পরিবহন করে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ কারণে আমি শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছি।
কোম্পানীগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, পুলিশকে ম্যানেজ করেই পাথর চোরাকারবারিরা ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর নিয়ে আসেন। যারা পাথর চুরি করে পুলিশ তাদের আটক না করে আমাদের সাধারণ ট্রাক শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করে। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলেছি ২৪ ঘণ্টার ভেতরে আটককৃত ট্রাক ড্রাইভার তিনজনের মুক্তির দাবি ও ওসির প্রত্যাহার জানান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মজির উদ্দিন বলেন, সকাল ৭টায় সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে শ্রমিক নেতাদের নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। পরে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।
তিনি বলেন, শ্রমিক নেতারা ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তাদের চালক ও শ্রমিকদের মুক্তি দেওয়া না হলে আগামীকাল বুধবার আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করার কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা উপজেলা পরিষদের আলোচনায় বসেছি। যেভাবে সুন্দর সমাধান হয় সেটা করব।
মন্তব্য করুন