কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয়তা জুলাই গণবিপ্লবে উঠে এসেছে : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পুরোনো ছবি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পুরোনো ছবি

স্বাধীন বিচার বিভাগ কতটা জরুরি তা জুলাই-আগস্টে গণবিপ্লবের মাধ্যমে উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্ভূক্তিমুলক বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিতে বিচার বিভাগ বদ্ধপরিকর।

সম্প্রতি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ‘অ্যাচিভিং জাস্ট সোসিয়েটিজ: ইনক্লিউসিভ জাস্টিস পাথওয়েজ ফর পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ শীর্ষক একটি রিজিওনাল কনফারেন্সে কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে ইউএনডিপি, থাইল্যান্ড ইনস্টিটিউট অব জাস্টিস (টিআইজে), ইউএনইপি, আইডিএলও, ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, ইউএন ওমেন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক, পাথফাইন্ডার্স অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি গণমুখী, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণে বাংলাদেশের জনগণের পরম অভিপ্রায় জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সংঘটিত গণবিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটি দেশের জন্য স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকা কতটা জরুরি তা পুনরায় উঠে এসেছে।

তিনি তার বক্তব্য বলেন, ধর্ম- বর্ণ- শ্রেণি- অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ বদ্ধ পরিকর।

বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি তৃণমূল পর্যায়ে আইনি প্রতিকার তথা কমিউনিটি জাস্টিস নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশের গ্রাম আদালতসমূহের সাফল্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। এছাড়া, প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার পাশাপাশি লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের মাধ্যমে নাগরিকগণের আইনি সমস্যার সমাধানের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের উচ্চ আদালত জনস্বার্থ মামলায় জুডিসিয়াল রিভিউ’র সফল প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ, জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আইনের উদারনৈতিক ব্যাখা প্রদান করে সমাজের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে এবং এভাবে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচার বিভাগ সংস্কারে তার ঘোষিত রোডম্যাপ এর রূপরেখা তুলে ধরেন।

এ ছাড়া ‘সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল’কে পুনরুজ্জীবিত করা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রক্রিয়া চালু করার উদ্যোগের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্লিনারকে দিয়ে অস্ত্রোপচার, হাসপাতাল সিলগালা

রাতে খাবার বাদ দিলে কি সত্যিই ওজন কমে? জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

বক্স অফিসে সাড়া ফেলল ‘ধুরন্ধর’

ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ

দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার সক্ষমতা বিএনপিরই আছে : তারেক রহমান

আবারও পেছাল সালমান শাহ হত্যা মামলার প্রতিবেদন

দিনেদুপুরে ভূমি অফিসে চুরি

খাজরা ইউনিয়নকে ‘মডেল ইউনিয়ন’ করার প্রতিশ্রুতি কাজী আলাউদ্দীনের

এক টেকে ‘জানি না’ গেয়েছিলেন নচিকেতা

বার্সাকে ‘চূড়ান্ত হ্যাঁ’ ইয়ামালের, ত্যাগে মুগ্ধ ফ্লিক

১০

চট্টগ্রামে গোল্ডেন গেইট ইংলিশ স্কুলের এডমিশন ফেস্ট

১১

আমদানির খবরে পেঁয়াজের বাজারে দরপতন

১২

নতুন জোটে এনসিপির সঙ্গী হলো যারা

১৩

যারা দ্রুত নির্বাচন চেয়েছিল তারা এখন তা পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে : আবু হানিফ

১৪

নির্বাচনী কাজে বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে ইসির যে সিদ্ধান্ত

১৫

কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

১৬

পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের লিড

১৭

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দুস্থদের পাশে শমসের আলী হেলাল

১৮

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ নেতাকে শোকজ

১৯

‘বাকসু’ নাম রক্ষা ও নির্বাচনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

২০
X