কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় হত্যা, ৬ আসামির যাবজ্জীবন

আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজতে আসামিরা। ছবি : সংগৃহীত
আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজতে আসামিরা। ছবি : সংগৃহীত

সাভারের গেন্ডা এলাকায় ৬ বছর আগে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদের জেরে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ খানকে হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাজিয়া নাহিদের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, শিমুল হাওলাদার ওরফে শ্যামল, শামীম আলী, ইমরান হোসেন, ফয়সাল আহম্মেদ মোত্তাকিন, লিটন ওরফে রইচ। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় শেষে আদালত আসামিদের উদ্দেশ্য বলেন, আপিলের সুযোগ আছে। আপিল করবেন। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।

আসামিরা জামিন ছিলেন। তবে এদিন ফয়সাল আহমেদ আদালতে হাজির হননি। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অপর ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় পুলিশ সদস্যদের অস্থির, উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়। তখন বিচারক বলেন, এমন কিছু করবেন না যেন ওরা ভয় পায়।

পরে তাদের আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাহমুদ হাসান সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন। এ দিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভিকটিমের বাবা আতাউর রহমান খান। তিনি বলেন, ন্যায় বিচার পেয়েছি।

জানা যায়, আসামিরা ভিকটিম মারুফ খানের বান্ধবী মুনাকে ইভটিজিং করতো। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তারা মুনাকে ইভটিজিং করে। মারুফ এর প্রতিবাদ করে। পরে সে মুনাকে রিকশায় করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় গেন্ডায় আব্দুর রহমানের মোটর সাইকেলের গ্যারেজ সংলগ্ন আসামিরা মারুফের ওপর হামলা চালায়। মঞ্জু তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে মারাত্মক আহত হন মারুফ। তাকে চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ায় পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করা হয়। সেখানে নিয়ে আসার পথিমধ্যে মারা যায় মারুফ।

এ ঘটনায় মারুফের ভাই লুৎফর রহমান খান মানিক ২২ আগস্ট সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২২ সালের ২৩ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধুঁকতে থাকা রিয়ালের জন্য নতুন দুঃশ্চিন্তা

ফের বিয়ের পিঁড়িতে কণ্ঠশিল্পী পূজা, পাত্র কে? 

হাদিসে যে ১০ বিষয়কে কেয়ামতের বড় আলামত বলা হয়েছে

জুলাই হত্যা মামলা থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীনকে অব্যাহতি

মাছ চাষে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগে অধ্যাপক মামুনের সাফল্য

টাকার সঙ্গে ঘুষ নিলেন হাঁস

ইসলামের লেবাস পরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে একটি দল : ড. কাইয়ুম

চসিক কার্যালয় পরিদর্শনে চীনের উহু সিটির মেয়র

রুপাজয়ী খই খইয়ের স্বপ্ন এখন অলিম্পিক

বিতর্কিত মন্তব্য, ভারতকে হুঁশিয়ারি সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রীর

১০

স্মৃতি মান্ধানার হবু বর পলাশ মুচ্ছালকে ঘিরে নতুন বিতর্ক

১১

২৯ নভেম্বর মক ভোট : ইসি সচিব

১২

মেট্রোরেলের ভাড়া কার্ডে প্রথম দিনই অনলাইন রিচার্জে বাধা 

১৩

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে রিটকারীর পেছনে ‘ভোমা বিড়াল’ : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৪

ইএমই কোরের সদস্যদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

১৫

রাস্তার পাশে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর মরদেহ

১৬

টি-টোয়েন্টিতে মালয়েশিয়ার অলরাউন্ডারের বিরল কীর্তি

১৭

নামের জটিলতা কাটিয়ে শুরু হচ্ছে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ

১৮

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া সেই পাঁচ শিশু হাসপাতালে ভর্তি

১৯

কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন

২০
X