কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হয়রানি করতেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা : আদালতের পর্যবেক্ষণ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি

রাজনৈতিক কারণে এবং হয়রানি করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অপরদের নাইকো মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার আগে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন।

আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে মামলা থেকে খালাস দেন। নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করতে এ দিন ১১টা ২৪ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। এ সময় বিচারক বলেন, প্রশ্ন হতে পারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কীভাবে আসামির আত্মপক্ষ শুনানি করা হচ্ছে। ডিএলআরের ১৭ থেকে ২১ পর্যন্ত এ বিষয়ে বলা আছে। কোনো আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরায় থাকলে তার অনুপস্থিতিতে আত্মপক্ষ শুনানি করা যায়। আবার রায়ও দেওয়া যায়। সে অনুযায়ী রায় দেওয়া হচ্ছে।

পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, একই ধরনের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ছিল। যেহেতু এ মামলা চলেনি, তবুও এ মামলার ফুল ট্রায়াল হয়েছে। আসামি সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে তিনি চার দিনের রিমান্ডে ছিল। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। সেখানেও বলেছেন তাকে শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

মামলা তেজগাঁও থানার। কিন্তু তাকে রাখা হয় গুলশান থানায়। সেখানে নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষকে ডিনাই করছে। তাদের এটা জানাও নাই। রেকর্ডে দেখা গেছে, তাকে যে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, বহির্বিভাগের টিকিটও আছে। তাকে বাইরে থেকে ওষুধও কিনে দেয়াও হয়, এর রসিদও আছে।

তিনি বলেন, ‘সেলিম ভূঁইয়াকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে ফোর্সগুলি ১৬৪ নেওয়া হয়েছে। সে কারণে এই ১৬৪ কে সত্য বলার সুযোগ নেই। এর উদ্দেশ্য হলো, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কাশেম শরীফসহ অন্যদের জড়িত করার জন্য কিন্তু জোরপূর্বক এ ১৬৪ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে এবং হয়রানি করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের জড়িত করা হয়েছে। পরে আদালত তাদের খালাসের রায় দেন।

মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। জামিনে থাকা অপর আসামিরা আদালতে হাজির হন। এদিকে সব আসামি খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়। ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) মামলার রায় দিলেন বিচারক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

বিশ্ব শিশু দিবস আজ 

এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে : সারজিস 

ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপজুড়ে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

ঘুম থেকে ওঠার পরই কি সারা শরীরে ব্যথা হয়, ভয়াবহ রোগের লক্ষণ নয় তো?

আকিজ গ্রুপে চাকরি, পাবেন গ্র্যাচুইটিও

ট্রাফিক জরিমানার নামে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণা, ডিএমপির সতর্কতা

আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটালেন নদীপাড়ের মানুষ

১০

টিভিতে আজকের যত যত খেলা

১১

সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১২

তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ডিমলার বন্যা রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিতে

১৩

৬ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৪

তিস্তার পানির তোড়ে ভেঙে যেতে পারে ফ্লাইড বাইপাস সড়কটি

১৫

বজ্রপাতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৬

দুই বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিল বিএসএফ

১৭

বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী জনগণের পাশে রয়েছে : নীরব

১৮

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

১৯

ছক্কার ঝড় তুলে ম্যাচসেরা সাইফের মুখে আত্মবিশ্বাসের কথা

২০
X