কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইশরাকের গেজেট স্থগিতের রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন

ইশরাক হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
ইশরাক হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। তিনি বলেন, ‘আমরা লিভ টু আপিল করেছি। এটি এখন চেম্বার আদালতে শুনানি হবে।’

লিভ টু আপিলকারীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলটি দায়ের করা হয়েছে। আজ বা আগামীকাল চেম্বার আদালতে শুনানি হতে পারে।’

এর আগে রিটকারীর আইনগত অধিকার নেই, এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়–বলে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ তা সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। পরে বিকেলে সাত পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। ইশরাক হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। যদিও তারা নিজেদের অফিসার অব দ্য কোর্ট হিসেবে দাবি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন ও খান জিয়াউর রহমান।

বৃহস্পতিবার আদেশের পর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন- এ মামলাটা এসেছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল থেকে। কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন (ট্রাইব্যুনালে মামলার বিবাদী হিসেবে), তিনি অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কেউ আপিলে যায়নি। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গেজেট করেছে। গেজেট অনুসারে এখন শপথ হবে। শপথ না পড়ালে সেটা আদালত অবমাননা হবে।

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তবে নোটিশের পর রাতেই গেজেট প্রকাশ করা হয়। নোটিশের বিষয়ে ওই সময় আইনজীবী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায়টি দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারেন না যে আদেশের কোনো কার্যকারিতা নেই। এখানে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদশূন্য করে দেওয়া হয়েছে। পরে মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাক হোসেনের শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। এ ছাড়া রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তরুণদের স্থূলতা কি বিপদের ইঙ্গিত

ইনজুরিতে মারুফা, পরবর্তী ম্যাচ খেলা নিয়ে যা জানা গেল

বক্স অফিসে অপ্রতিরোধ্য রঘু ডাকাত

একসঙ্গে আগুন নেভাতে যান বাবা-ছেলে, অতঃপর...

‘সংখ্যালঘু বলে কোনো কনসেপ্ট নেই’

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক শহিদুল আলম

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীসহ গ্রেপ্তার ১১

চোরের গাড়িচাপায় যুবক নিহত

নতুন রূপে রণবীর-দীপিকা

শ্রমজীবী-ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আনোয়ারুজ্জামানের মতবিনিময়

১০

অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না জেলেদের

১১

শহিদুল আলমের ফ্রিডম ফ্লোটিলা জাহাজ আটক করেছে ইসরায়েল

১২

‘সৈনিক লীগের সভাপতি থেকে মুরগির ফার্মের মালিকও টিভির লাইসেন্স পেয়েছে’ 

১৩

মাদকসেবীসহ ৩ জনের কারাদণ্ড

১৪

নতুন দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন, বিস্ফোরক মন্তব্য নুরের 

১৫

আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ওয়ানডে লড়াই শুরু আজ

১৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মরুর ফল চাষে সাফল্য

১৭

সালমানের ফার্ম হাউস নিয়ে যা বললেন রাঘব

১৮

ইরানের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের বিস্ফোরক দাবি

১৯

বদলে গেল আর্জেন্টিনা-পুয়ের্তো রিকো ম্যাচের ভেন্যু

২০
X