অ্যাননটেক্সের ২৯৭ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাতকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৩ জুলাই) শুনানি শেষে বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন।
এদিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে আসামিকে আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে হাজির করা হয়। এরপর তাকে কাঠগড়ায় তোলা হলে দুই মেয়ে কাঠগড়ায় বাবার কাছে হাজির হন। তখন এজলাসে বিচারক ছিলেন না। এ সময় বড় মেয়ের কোলে থাকা নাতিকে কোলে নেন বারকাত। কিছুক্ষণ চুমু খেয়ে আদর করে দেন তার ছোট্ট নাতিকে। বড় মেয়ের সঙ্গে কথা বলা শেষে ছোট মেয়েকে কাছে ডাকেন এ অর্থনীতিবিদ। পরে ৩টা ৪২ মিনিটে ছোট মেয়ের মাথা নিজের বুকে টেনে নিয়ে কপালে চুমু খান তিনি। এ সময় বারকাত ও তার মেয়ের চোখ ছলছল করতে দেখা যায়।
এরপর বিচারক এজলাসে ঢুকবেন বলে আদালতের কর্মচারী সবাইকে জোরে ডেকে হুঁশিয়ার করেন। এ সময় বাবার কাছ থেকে মেয়েরা চলে গিয়ে পেছনে বেঞ্চে বসেন। ছোট মেয়ে বেঞ্চে বসে অপলক দৃষ্টিতে বাবাকে দেখতে থাকেন। বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে বিচারক এজলাসে আসেন। এ সময় বসা সবাই উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। পরে বারকাতের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়।
এরপর দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। তিনি আদালতে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ হিসেবে তাকে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আসামি বারকাত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ব্যবহার করে ২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ ঋণ জালিয়াতি করেছেন। তার রিমান্ড প্রয়োজন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর রহমান রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মন্তব্য করুন