দুদকের পর্যবেক্ষণে থাকা ১৫ ক্লাবকে ঘিরে টানাপোড়েন চলছিল কয়েক সপ্তাহ ধরেই। কখনো খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ পড়া, আবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে ফেরত আসা—সব মিলিয়ে অনিশ্চয়তার রেশ লেগেই ছিল। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে সেই অধ্যায়ের ইতি টানা হলো। বিসিবি নির্বাচনের দৌড় থেকে ছিটকে গেল ওই ১৫ ক্লাব।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে কাউন্সিলরশিপকে ঘিরে ক্লাবগুলোর লড়াই নতুন কিছু নয়। এবারের নির্বাচনেও শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল এক্সিউম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমি, মোহাম্মদ ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমি, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ক্রিকেট ক্লাবসহ মোট ১৫টি ক্লাব।
প্রথমে দুদকের তদন্তাধীন থাকার কারণে খসড়া ভোটার তালিকায় জায়গা হয়নি তাদের। এ নিয়ে ক্লাব কর্তারা অভিযোগ জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ সেপ্টেম্বর তাদের কাউন্সিলরশিপ ফেরত দেওয়া হয় এবং চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্তও করা হয়। পরবর্তীতে মনোনয়ন জমা ও বাছাই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করে ফেলে তারা।
কিন্তু হাইকোর্টের সর্বশেষ নির্দেশ পুরো চিত্রটাই পাল্টে দিল। আদালতের রায়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়তে হলো এক্সিউম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমি, মোহাম্মদ ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমি, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমি, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমি, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব ও আলফা স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলরদের।
ফলে দুদকের জালে আটকে যাওয়া এসব ক্লাবের জন্য বিসিবি নির্বাচনের দরজা আপাতত বন্ধই থেকে গেল।
মন্তব্য করুন