

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তদন্তে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে বাধা দেওয়ায় শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
অভিযুক্ত সাতজন হলেন—মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ এবং মো. রবিন। ডিবির দাবি, সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় গত ১৩ মে রাত ১১টার ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। ওই দিন রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম ডিএমপির শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
মন্তব্য করুন