

ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এ সময় কবিরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে পেতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডের জোর দাবি জানান সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন।
এ সময় বিচারক আসামির বক্তব্য শুনতে চান। তখন আসামি কবির বলেন, ‘ফয়সালের সাথে আমার যোগযোগ ছিল সত্য। কিন্তু আমি এ ঘটনার কিছুই জানি না। আমার আইডি কার্ড ব্যবহার করে মোটরসাইকেলটি কেনে। তবে অনেক আগে এ মোটরসাইকেল কেনা হয়। আমি নির্দোষ। শুনানি শেষে আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এর আগে, গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওইদিনই ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু ও বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল মালিক আব্দুল হান্নানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলি লাগে হাদির মাথায়। হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলাটি করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।
গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মন্তব্য করুন