কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩, ০৯:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গ্রাহকের টাকা মেরে ওমরা পালনে এমটিএফইর দুই পরিচালক

ওমরা পালনে এমটিএফইর দুই পরিচালক। ছবি : কালবেলা
ওমরা পালনে এমটিএফইর দুই পরিচালক। ছবি : কালবেলা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আলোচিত অনলাইন বিনিয়োগ প্লাটর্ফম ‘এমটিএফই’ অ্যাপে গ্রাহকের বিনিয়োগের শত কোটি টাকা মেরে ওমরা পালনে সৌদি আবার গেছেন মিজানুর রহমান ও মাসুম আলী নামে প্রতিষ্ঠানটির দুই পরিচালক। মিজানুর কুষ্টিয়ার এমটিএফইর প্রধান সিইও পদে ছিলেন। তার পরের স্থান মাসুম আলীর।

এদিকে পরিচালকদের ওমরা পালনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের তথ্যমতে, কুমারখালীসহ জেলার প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার গ্রাহক ৮ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছেন। গত শুক্রবার থেকে এমটিএফইর সব কার্যক্রম হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কুমারখালী উপজেলার দুই হাজার মানুষ প্রায় শতকোটি টাকা খুইয়েছেন। এই অ্যাপে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, ড্রাইভার, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিনিয়োগকারী করেছেন। বিপুল লভ্যাংশের মাধ্যমে রাতারাতি কোটিপতি হবার আশায় টাকা জমা দেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সিঙ্গার প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অফিস নিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন মাসুম ও মিজান। এই দুজনের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার মানুষ বিনিয়োগ করেছিল।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, কুমারখালী ‘এমটিএফই’ এর মূল হোতা পৌরসভার বাটিকামারা মধ্যপাড়ার মসলেম উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান। তিনি স্থানীয় ফেমাস ফুলকুঁড়ি বিদ্যালয়ের পরিচালক পদে আছেন। আর তার সহকারী ছিলেন পৌরসভার ঝাওতলা এলাকার তোফাজ্জেলের ছেলে সাবেক পুলিশ কনস্টেবল মো. মাসুম আলী। তিনি পুলিশ সদর দপ্তরের আইটি সেক্টরে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে এসে ‘এমটিএফই’ এর ব্যবসার সাথে যুক্ত হন।

গত ১১ আগস্ট মিজানুর ও মাসুম সৌদি আরবে ওমরা পালন করতে যান। তারপর থেকে শুরু হয় অ্যাপটিতে বিভিন্ন সমস্যা। সাথে গ্রাহকদের কমিশনও কমে যায়। এরপর গত ১৮ আগস্ট থেকে অ্যাপসটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালী সিইও মিজানুর রহমানের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী সুমী খাতুন জানান, মিজানুর ওমরা করতে গেছেন। তিনি এসব বিষয়ে কোনোভাবেই কথা বলবেন না। মিজানুর আসলে তার সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।

কুমারখালী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ঝাউতলা এলাকায় আরেক সিইও মাসুম আলীর সাথে বাড়িতে গেলে তার মা রেখা খাতুন বলেন, আমার ছেলে ওমরাহ করতে গেছে। আগে পুলিশের চাকরি করত। পরে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করে। তিনি নিজেও এতে টাকা বিনিয়োগ করেছেন।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম জানান, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেরেছি এই সম্পর্কে। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৪ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ, বাজারদর জেনে নিন

গাজায় হামাসের বন্দুকধারীদের টহল

আগামীর রাষ্ট্রকাঠামোর পূর্ণ রূপরেখা ৩১ দফাতেই রয়েছে : কফিল উদ্দিন 

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে : টুকু 

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

১০

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

১১

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

১২

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১৩

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১৪

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

১৫

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

১৬

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

১৭

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

১৮

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৯

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

২০
X