কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দেড় মাসেও উদ্ধার হয়নি বনশ্রী থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী

খিলগাঁও থানা। পুরোনো ছবি
খিলগাঁও থানা। পুরোনো ছবি

অপহরণের দেড়মাসেও উদ্ধার হয়নি বনশ্রী ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্রী ফাতেমা বিনতে ছালাম ছিফা (১৭)। এখন পর্যন্ত অবস্থানও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, আমরা চেষ্টা করছি। আশা করছি শিগগিরই ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ছিফার বাবা আবদুস ছালাম বলেন, ‘আমার মেয়ে বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে এই বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। কুমিল্লা জেলার ভাঙ্গরা বাজার থানাধীন গোড়াশাল গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে মো. শাহীন (২৩) আমাদের পূর্ব পরিচিতি। সে আমাদের গ্রামে মাঝে মাঝে আসতো এবং মেয়েকে উত্যক্ত করতো। ছিফা বিষয়টি আমাকে ও আমার স্ত্রী শাহীনা বেগমকে জানালে শাহীনের মা মরিয়ম বেগমকে বিষয়টি জানাই। তিনি আশ্বাস দেন যে তার ছেলে শাহীন আর কখনো আমার মেয়েকে উত্যক্ত করবে না। যার ফলে আমি তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেইনি।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ‍জুলাই বিকাল ৪টার দিকে আমার মেয়ে আমার বনশ্রীর বাসা থেকে পাশের মুদি দোকানে কিছু সদাইপাতি আনতে যায়। প্রায় এক ঘণ্টায়ও ফিরে না আসায় আমার স্ত্রী মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এ সময় আমি আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারি; ওই দিন বিকাল আনুমানিক ৪টা ২০ মিনিটের দিকে বনশ্রী এইচ ব্লকের ৪ নম্বর সড়ক থেকে আমার মেয়েকে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়।’

আবদুস ছালাম আরও জানান, আমার মেয়েকে অপহরণের ঘটনায় আমি খিলগাঁও থানায় শাহীন, তার মা মরিয়ম, তাদের সহযোগী (বন্ধু) নূর নবী, আশরাফুল আলম ও কাজী মাসুমকে আসামি করে গত ২৭ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। মামলার পর পুলিশ কাজী মাসুমকে গ্রেপ্তার করে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তার কাছ থেকেও আসামির প্রকৃত অবস্থান জানা যায়নি। কাজী মাসুম ৮ দিনের মাথায় জামিনে বের হয়ে গেছে।’

আবদুস ছালাম বলেন, ‘গত ১১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ৫৭ মিনিটে একটি ফোন নম্বর থেকে আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে আব্বু বলে কান্নাকাটি শুরু করে। এরমধ্যেই ফোনলাইনটি কেটে দেওয়া হয়। আমি ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গেই নম্বরটি বন্ধ পাই। থানা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’ এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার ওসি মনির হোসেন মোল্লা বলেন, আসামি ও ভুক্তভোগী পূর্ব পরিচিত। ঘটনার দিন তারা আফতাব নগরের ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে একসঙ্গে চলে গেছে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বাঙ্গরাসহ কয়েকস্থানে অভিযান চালিয়েও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তারা কোনো মোবাইল ব্যবহার করছে না। তার বাবা যে নম্বরটি থেকে কল করার কথা বলেছে ওই নম্বরটির অবস্থান ছিল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার চিওড়া এলাকায়। কল করার পর থেকে নম্বরটি বন্ধ।

ওসি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। তাদের সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। আমাদের টিম কাজ করছে। আশা করছি শিগগিরই আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চীনা দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়

নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর সঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে যুবসমাজ

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার লকারে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ পাওয়া গেছে

শুভর বুকে ঐশী, প্রেম নাকি সিনেমার প্রচারণা?

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১০

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

১১

এবার জুবিনের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল বিধানসভা

১২

‘সুখবর’ পেলেন বিএনপির আরেক নেত্রী

১৩

বাজার থেকে টিসিবির ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার আটক

১৪

দারিদ্র্যসীমা নিয়ে বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল বিশ্বব্যাংক

১৫

সাড়ে ৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি কড়াইল বস্তির আগুন, পুড়ল শতাধিক ঘর

১৬

ভুলেও এআই চ্যাটবটকে এই ১০ তথ্য দেবেন না

১৭

হাসপাতালে ঢুকে পড়ল সাপ, অতঃপর...

১৮

উত্তপ্ত যবিপ্রবি, স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

১৯

সাতক্ষীরায় বিএনপির তিন গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নেতাকর্মীদের আস্থায় রহমতুল্লাহ পলাশ

২০
X