

রাজধানীর গুলশানে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে মনিরুল নামে পুলিশের আরেক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় জাপান দূতাবাসের এক ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ ও পথচারী আহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টার দিকে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে।
ফুটেজে দেখা গেছে, ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীদের ডিউটি বুথের সামনে বাগ্বিতণ্ডা করছেন কনস্টেবল কাওসার ও মনিরুল। ডিউটি খাতা নিয়ে কিছু একটা বলছিলেন তারা। এ সময় হঠাৎ করেই মনিরুলের দিকে ডিউটি খাতাটি ছুড়ে দেন কাওসার। এখানেই শেষ না, মনিরুলের দিকে তাক করে আচমকা গুলি ছুড়তে থাকেন তিনি। পরে বুথ থেকে বের হয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে মনিরুলের মৃত্যু নিশ্চিত করেন কাওসার। এ সময় মনিরুলের অস্ত্রটিও হাতে তুলে নিয়ে তার দেহ লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন তিনি।
এ ঘটনায় আহত হন জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন শাহরুখ। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে সাজ্জাদের পেট ভেদ করে গুলি চলে গেছে। আজকের (রোববার) মধ্যেই অপারেশন করা হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাউসারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। গত ৫-৬ দিন ধরে বেশ চুপচাপ ছিলেন, কারো সঙ্গে কথা বলতেন না।
গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, তাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা; মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে কনস্টেবল কাউসার সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন।
রাত সোয়া ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফিলিস্তিন দূতাবাসের অদূরে ফুটপাত পেরিয়ে সড়কের পাশে কনস্টেবল মনিরুলের গুলিবিদ্ধ দেহ উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তখনও তার ব্যবহৃত রাইফেলটি তার পিঠের ওপর পড়ে ছিল। পুরো এলাকা পুলিশের সোয়াত টিম ঘিরে রেখেছে। সে সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে যান।
নিহত কনস্টেবল মনিরুল পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গতরাতে ফিলিস্তিন দূতাবাস লাগোয়া উত্তর পাশের গার্ড রুমে তার ডিউটি ছিল। একই সময়ে ডিউটিরত ছিলেন কাউসার আহমেদ।
মন্তব্য করুন