মিরপুর শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সেই অচেনা রহস্য এবার উইকেটে নামার আগেই বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি সরাসরি জানালেন, তিনি আগে এমন ধরনের পিচের সম্মুখীন হননি। সিরিজের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষই যখন উইকেটকে অস্বাভাবিক বলছে, তখন বাংলাদেশের কাঁধে চাপ বেড়ে যায়—বিশেষত ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতার শর্ত নিয়ে দুশ্চিন্তার এই সময়টাতে।
স্যামি সিরিজ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘আমি সঠিকভাবে বর্ণনা করতে পারব কি না জানি না, কিন্তু আমি আগে কখনো এমন উইকেট দেখিনি। উপমহাদেশে খেলা মানেই ভিন্ন চ্যালেঞ্জ—বিশেষত ব্যাটসম্যানদের জন্য।’
তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, মিরপুরের পিচ প্রতিপক্ষকে ভাবাচ্ছে—এবং তারা দ্রুত মানিয়ে নিতে চাইবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স সাংবাদিকদের জানালেন, তার কাছে পিচটি প্রথাগত মিরপুরের ধাঁচের মনে হয়েছে— ‘আমার চেয়ে আপনারা মিরপুরকে ভালো জানেন; আমার তো উইকেট দেখে প্রথাগত মিরপুরেরই মনে হয়েছে। সেখানে সাধারণত টার্ন থাকবে, যা আমাদের জন্য উপযোগী।’
স্যামি বলেন, পিচ নিয়ে চিন্তা করে আত্মশোক্ত না হওয়াই তাদের নীতি— ‘পিচটা আমাদের ভাবনায় আসতে দেব না। আমরা যেকোনো কন্ডিশনে গেম-প্ল্যান তৈরি করি: কোন ধরণের স্কিল এখানে সফল হবে সেটা বুঝতে হবে এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি আরো যোগ করেন, বেশির ভাগ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানই ভারতের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে এসেছেন, তাই তাদের মিরপুরের কন্ডিশন কিছুটা পরিচিত মনে হতে পারে।
এ সিরিজ বাংলাদেশের জন্য কেবল সিরিজ জেতার ব্যাপার নয়—এটি ২০২৭ বিশ্বকাপ সরাসরি যোগ্যতার দৌড়ে র্যাঙ্কিং ধরে রাখার লড়াইও। ৩১ মার্চ ২০২৭-এর মধ্যে সেরা নয় দলের মধ্যে থাকতে না পারলে সরাসরি টিকিট হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে; এখনো বাংলাদেশের অবস্থানই চূড়ান্ত নয়, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজদের কাছেই সামান্য নিচে অবস্থান। তাই মাঠে টিকিটের মর্যাদা ও পিচ-ব্যবহারের কৌশলই নির্ধারণ করবে পরবর্তী রাজনৈতিক-মার্গ।
উইকেট যখন রহস্য, কৌশলই দাঁড়ায় মূল অস্ত্র—আগামীকাল টস, অনুশীলন ও প্রথম ম্যাচই শেষ কথা বলবে: মিরপুরের ‘কালো’ বা অচেনা পিচে কে জিতবে—চ্যালেঞ্জ নেবে প্রতিপক্ষ নাকি বাড়তি সুবিধা কাজে লাগাবে
মন্তব্য করুন