শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের

সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

টানা তৃতীয় দিনের মতো সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল শেষে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সমাবেশে মিলিত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে সড়ক অবরোধ করে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীরা গানে গানে কোটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকে।

কোটা বৈষম্যবিরোধী এই বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন ধরনের স্লোগানে উত্তাল হয়ে পড়ে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস। ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান’, ‘এক হও লড়াই করো’। ‘কোটা না মেধা?’ ‘মেধা মেধা।’ ‘হাইকোর্টের রায় মানি না মানব না’। ‘কোটা বাতিল করো, বাতিল করো’, ‘ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ’। ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’। ‘দাবি এক দফা এক, কোটামুক্ত বাংলাদেশ’। ‘প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন’। এমন নানা রকম স্লোগানসহ কোটা প্রথা বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

স্লোগান শেষে বক্তারা বলেন, ‘কোটার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা চাকরি পাচ্ছে না। দেশের ১০ ভাগ মানুষের মধ্যে ৫০% এরও বেশি চাকরি মাত্র ০.১৪ ভাগ মানুষের দখলে। আর বাকি ৯.৮৬ ভাগ মানুষের জন্য কেন ৫০% এরও কম চাকরির সুযোগ? এই বৈষম্য কবে দূর হবে? চাষার ছেলে আজীবন কি চাষায় থাকবে? গরিবের ছেলের কি পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করতে ইচ্ছে করে না? দেশটাকে আর কত শোষণ করবেন? কেটে খাওয়া মানুষের রক্ত আর কতদিন চুষে খাবেন? আমাদের অধিকার আর কত খর্ব করবেন? আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের আর পিছনে যাওয়ার রাস্তা নাই ‘

বক্তারা আরও বলেন, ‘এই দেশ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। যেদিকে থাকাই দুর্নীতি ছাড়া চোখে পরে না। দেশের সরকারি জায়গায় বেশিরভাগ কোটাধারীরা বিভিন্ন পদ দখল করে আছে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে কোটার পাশাপাশি দুর্নীতি নিয়ে আমাদের সোচ্চার হওয়া উচিত। আমরা দিনরাত এক করে পড়াশোনা করব, আর কোটাধারীরা ৫৬ শতাংশ সিট নিয়ে নিবে। আর যাদের টাকা আছে তারা প্রশ্ন কিনে নিবে। আমরা যারা সাধারণ শিক্ষার্থী আছি তারা আসলে করবটা কি? আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ খোলা নাই। প্রকৃতপক্ষে, দেশটার উপরের খোলসটা আছে, ভিতরে ফাঁপা। ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ডিক্যাবের শোক

কর্মসূচি স্থগিত করে নতুন ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি 

খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাতে নিউমার্কেট বিএনপির দোয়া

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমানের পদত্যাগ

গণতন্ত্র হারাল এক অভিভাবক, জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি : এবিএম ওবায়দুল

প্রকৌশল খাতে খালেদা জিয়ার অবদান অনস্বীকার্য : আইইবি

রুমিন ফারহানাসহ যে ৯ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা উপলক্ষে যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে 

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে যা জানা গেল

১০

বহিষ্কারের পর নির্বাচন করার ঘোষণা ১ বিএনপি নেতার

১১

ইজতেমার ময়দানে সমাবেশ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল সরকার

১২

রাস্তায় ফেলে যাওয়া ২ শিশুর দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

১৩

খালেদা জিয়ার মৃত্যু / ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণায় স্থগিত হলো যেসব পরীক্ষা

১৪

বিএনপি নেতার প্রার্থিতা গ্রহণ না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ব্যাংকের চিঠি

১৫

খালেদা জিয়ার ‘মাতৃস্নেহ’ নিয়ে অধ্যাপক জাহিদের স্মৃতিচারণা

১৬

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাবির বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা

১৭

ওয়েস্টিন, শেরাটন ও হানসার ৩১ ডিসেম্বরের সব অনুষ্ঠান বাতিল

১৮

বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক : ডা. তাহের

১৯

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

২০
X