জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জবিতে প্রদর্শনী বিতর্ক, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চায় শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে এ বিতর্ক অনুষ্ঠান। ছবি : কালবেলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে এ বিতর্ক অনুষ্ঠান। ছবি : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রদর্শনী বিতর্কে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

বিতর্ক শেষে স্পিকারের পক্ষে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিপক্ষে ‘না’ ভোট চাওয়া হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের উচ্চ আওয়াজের ‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধে মত দেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া পুরো বিতর্কে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষের সরকারি দলের বক্তব্য চলাকালীন শিক্ষার্থীরা উচ্চ আওয়াজে করতালি দিয়ে সমর্থন জানান। বিতর্ক শেষে বিচারক রাসেল অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে সকল শিক্ষার্থীদের নতুন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জকসুকে সক্রিয় করার পরামর্শ দেন।

টানটান উত্তেজনায় শেষ হওয়া প্রদর্শনী বিতর্কের মোশন ছিল, ‘এই সংসদ মনে করে ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগের ধারাবাহিতায় ক্যাস্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সকলের জন্য উন্মুক্ত রেখে এই বিতর্কের এই মোশনটি উন্মুক্ত রাখা হয়।

ওই প্রদর্শনী বিতর্কে সরকারি দলে বিতর্ক করেন মো. রিয়াজুল ইসলাম, মাঈন আল মুবাশ্বির ও মেহেদী হাসান। অপরদিকে বিরোধীদলে বিতর্ক করেন ইনামুল হক ইহাদ, কিশোর আনজুম সাম্য ও নাঈমা আক্তার রিতা।

ওই অনুষ্ঠানে সরকারি দলে বিতর্ক করেন মো. রিয়াজুল ইসলাম, মাঈন আল মুবাশ্বির, মেহেদী হাসান। অপরদিকে বিরোধীদলে বিতর্ক করেন ইনামুল হক ইহাদ, কিশোর আনজুম সাম্য, নাঈমা আক্তার রিতা।

এসময় সরকারিদল বলেন, ক্যম্পাসে শিক্ষার পরিস্থিতি বিনষ্ট করা, হলে সিট বাণিজ্য, ক্যাম্পাসে আশপাশে চাঁদাবাজি, পড়াশোনার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট ইত্যাদি কারণে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে যাতে রাজনীতিবিদ উঠে আসে, সেইজন্য ছাত্রসংসদ চালু করতে হবে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান যেমন, রোভার স্কাউট, বিতর্ক সংসদ, বিএনসিসি, রেঞ্জার, রোভারসহ যাবতীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও ভিতরে সাধারণ শিক্ষার্থী হয়েই আসতে হবে।

বিপক্ষ দল দাবি করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতিকে কোনভাবে অস্বীকার করা যায় না। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্র সংগঠনসমূহের ভূমিকা ছিল। তাই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা মানে এসব ছাত্র সংগঠনের অবদানকে অস্বীকার করার শামিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পূর্ববিরোধে থেমে গেল জীবনের প্রাণ 

সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ জানালেন মিথিলা

সন্দেহ-অবিশ্বাসে দেশের পরিবর্তন সম্ভব নয় : রিজওয়ানা

পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ : রাজউক চেয়ারম্যান

অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ দিচ্ছে স্কয়ার গ্রুপ

এসএমসিতে পার্ট টাইম চাকরির সুযোগ

দেশে ফের ভূমিকম্প

৪৯১ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ

যুবদল নেতা বহিষ্কার

টেরিটরি সেলস ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ট্রান্সকম

১০

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা 

১১

২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

১২

প্রাক্তন স্ত্রীকে চমকে দিলেন আমির খান

১৩

ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের 

১৪

বিশ্বকাপে প্রথম পদক নিশ্চিত করল বাংলাদেশ

১৫

যেসব জেলা রয়েছে ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে

১৬

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাব্য গ্রুপিং প্রকাশ, বাংলাদেশের গ্রুপে কারা

১৭

দিল্লিতে ভয়াবহ বিপর্যয়, স্কুল-কলেজে নতুন নির্দেশনা

১৮

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে চিকিৎসকের আপত্তিকর ভিডিও, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪ 

১৯

কবে ঘোষণা করা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি জানা গেল

২০
X