সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জবিতে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা

জবিতে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি : কালবেলা
জবিতে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আয়োজিত হয়েছে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় ও আলোচনা সভা।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার প্ল্যাটফর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজের মতামত ও দাবি জানান।

এ সময় জবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রইছ্ উদদীন বলেন, ১৯ বছর পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণের ভাবনা আসলো কেন? তার মূল কারণ হলো, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দুই দশক হতে চললেও অতীতে দায়িত্বশীলরা শিক্ষালয়টির উন্নয়নে ভূমিকা রাখেনি। অতীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ নিজেদের জমিদার ভাবত, আর বাকিদের প্রজা ভাবত।

নিজের কর্মস্থলের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি উপাচার্য অফিসে নির্দিষ্ট কিছু মানুষ সিন্ডিকেট পরিচালনা করত। আমরা দেখেছি একটি দলের স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থের জন্য সবকিছু করেছে, কেবল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নটুকু করেনি। এজন্যই এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণের ভাবনা আসছে।

তিনি আরও বলেন, এতদিন যারা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত ছিল তাদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতে যাদের দ্বারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে ভবিষ্যতে আমাদের দ্বারা বৈষম্য পুনরায় উদ্ভব হতে পারে। তাই ভবিষ্যতের বৈষম্য দূর করার জন্য অতীতে যারা বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই। এক্ষেত্রেও আমরা বৈষম্য করতে চাই না, যারা প্রকৃত দোষী তারাই শাস্তি পাক। তাই আমরা সবাই দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে কীভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানের আহ্বায়কের বক্তব্যে জবির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক বলেন, আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের দিকটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে চেষ্টা করলে এই ক্যাম্পাসকে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের মধ্যে একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে পারব। আমরা যদি চাই এ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের র‌্যাংকিংয়ে দুই-তিন এবং বিশ্বের মধ্যে ভালো একটি অবস্থানে আনতে পারব।

আলোচনা অনুষ্ঠানের সদস্য সচিবের বক্তব্যে জবির ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাছির আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী কারও জন্যেই নির্দিষ্ট বাসস্থান নেই, আমাদের ১৩টি হল আছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিন উন্নতকরণ, ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত করা এবং দ্রুত নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের দিকে নজর দিতে চাই। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি সমস্যাকে চিহ্নিত করতে চাই এবং ধরে ধরে সমাধান করতে চাই।

ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের কর্মকাণ্ড থাকবে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ভাববে বিশ্ববিদ্যালয়; আর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ভাবব আমরা। আমাদের মূল ক্যাম্পাস আমাদেরই থাকবে, এখানে আমরা হল করতে পারি। আর নতুন ক্যাম্পাসে অ্যাকাডেমিক ভবনগুলো নির্মাণ করা যেতে পারে। আমাদের কেনা জায়গায় প্রয়োজন হলে টিনশেডের স্থাপনা করে ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জায়গা করে দিতে পারি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসাইন বলেন, বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়িয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশে নতুন ক্যাম্পাস পেয়েছি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা দায়িত্বরত যেই হোন না কেন, শিক্ষার্থীদের সাথে বিদ্বেষমূলক ও অন্যায় আচরণ করলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেব।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী

৭ জুলাই / বাংলা ব্লকেডে স্থবির ঢাকা, কোটা বাতিলে এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা

জামায়াত আমিরের শাশুড়ি মারা গেছেন

৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা

শহীদ মুত্তাকিনের অসুস্থ স্ত্রীর খোঁজ নিল বিএনপি

‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প

খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি

রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা

পবিত্র আশুরা ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার শিক্ষা দেয় : বিএনপি নেতা

জুলাই শহীদদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদদের দোয়া ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

১০

নৌপথে চাঁদাবাজি, যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬

১১

ইউএনও’র বিদায় অনুষ্ঠান শেষে ফিরছিলেন আ.লীগ নেতা, অতঃপর...

১২

নকল ওষুধ ও প্রসাধনী কারখানায় অভিযান, এক জনের কারাদণ্ড

১৩

বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেট যাচ্ছেন কাল

১৪

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

১৫

প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

১৬

এজবাস্টনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়

১৭

গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

১৮

সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী

১৯

এসিল্যান্ডসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

২০
X