জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জবিতে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা

জবিতে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি : কালবেলা
জবিতে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আয়োজিত হয়েছে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় ও আলোচনা সভা।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার প্ল্যাটফর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজের মতামত ও দাবি জানান।

এ সময় জবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রইছ্ উদদীন বলেন, ১৯ বছর পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণের ভাবনা আসলো কেন? তার মূল কারণ হলো, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দুই দশক হতে চললেও অতীতে দায়িত্বশীলরা শিক্ষালয়টির উন্নয়নে ভূমিকা রাখেনি। অতীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ নিজেদের জমিদার ভাবত, আর বাকিদের প্রজা ভাবত।

নিজের কর্মস্থলের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি উপাচার্য অফিসে নির্দিষ্ট কিছু মানুষ সিন্ডিকেট পরিচালনা করত। আমরা দেখেছি একটি দলের স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থের জন্য সবকিছু করেছে, কেবল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নটুকু করেনি। এজন্যই এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণের ভাবনা আসছে।

তিনি আরও বলেন, এতদিন যারা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত ছিল তাদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতে যাদের দ্বারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে ভবিষ্যতে আমাদের দ্বারা বৈষম্য পুনরায় উদ্ভব হতে পারে। তাই ভবিষ্যতের বৈষম্য দূর করার জন্য অতীতে যারা বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই। এক্ষেত্রেও আমরা বৈষম্য করতে চাই না, যারা প্রকৃত দোষী তারাই শাস্তি পাক। তাই আমরা সবাই দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে কীভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানের আহ্বায়কের বক্তব্যে জবির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক বলেন, আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের দিকটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে চেষ্টা করলে এই ক্যাম্পাসকে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের মধ্যে একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে পারব। আমরা যদি চাই এ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের র‌্যাংকিংয়ে দুই-তিন এবং বিশ্বের মধ্যে ভালো একটি অবস্থানে আনতে পারব।

আলোচনা অনুষ্ঠানের সদস্য সচিবের বক্তব্যে জবির ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাছির আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী কারও জন্যেই নির্দিষ্ট বাসস্থান নেই, আমাদের ১৩টি হল আছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিন উন্নতকরণ, ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত করা এবং দ্রুত নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের দিকে নজর দিতে চাই। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি সমস্যাকে চিহ্নিত করতে চাই এবং ধরে ধরে সমাধান করতে চাই।

ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের কর্মকাণ্ড থাকবে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ভাববে বিশ্ববিদ্যালয়; আর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ভাবব আমরা। আমাদের মূল ক্যাম্পাস আমাদেরই থাকবে, এখানে আমরা হল করতে পারি। আর নতুন ক্যাম্পাসে অ্যাকাডেমিক ভবনগুলো নির্মাণ করা যেতে পারে। আমাদের কেনা জায়গায় প্রয়োজন হলে টিনশেডের স্থাপনা করে ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জায়গা করে দিতে পারি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসাইন বলেন, বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়িয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশে নতুন ক্যাম্পাস পেয়েছি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা দায়িত্বরত যেই হোন না কেন, শিক্ষার্থীদের সাথে বিদ্বেষমূলক ও অন্যায় আচরণ করলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেব।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিআর পদ্ধতি নিয়ে ‘গণভোট’ দাবি ইসলামী আন্দোলনের

স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ

অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি দিচ্ছে ইবনে সিনা, পাবেন একাধিক সুবিধা

হস্তান্তরের আগেই স্কুলের নবনির্মিত ভবনে ফাটল

আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে দুঃসংবাদ দিল ফিফা

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় জানালেন ইসি সচিব

জেসিআই ঢাকা সাউথের উদ্যোগে রাইজআপ টাইগ্রেস স্কলারশিপ প্রকল্পের উদ্বোধন

মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

গাজায় রুয়ান্ডার ছায়া, কী হতে চলেছে

১০

আংশিক সূর্যগ্রহণের বিষয়ে জানাল আইএসপিআর

১১

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

১২

মায়ের মৃত্যুর পর ১৪ বছর ধরে শিকলবন্দি লিটন

১৩

এক সপ্তাহের মধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ব্রিটেন

১৪

শুক্রবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১৫

কাদের সঙ্গে জোট করবে জমিয়ত, জানালেন মহাসচিব

১৬

কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি

১৭

আফগানিস্তান সফরে গেলেন মামুনুল হকসহ ৭ আলেম

১৮

১১ বছর পর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে স্পেন

১৯

সৌদি-পাকিস্তানের চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের প্রতিক্রিয়া

২০
X