পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে পাবিপ্রবিতে আনন্দ মিছিল

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল। ছবি : কালবেলা
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল। ছবি : কালবেলা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করেছেন।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরই শিক্ষার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রধান ফটক থেকে শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল নিয়ে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে হয়ে আবার হলে ফিরে মিছিল শেষ করেন।

মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, ‘এ মুহূর্তে খবর এলো, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো’, ‘সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধ হলো, ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত হলো।’

সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহকে উদ্দেশ্য করেও ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান শোনা যায়, যেমন ‘বাবুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘হই-হই রই-রই নুরুল্লাহ গেলি কই’।

এর আগে রাত ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেখানে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা আসে।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।

গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।

যেহেতু সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো এবং এ আইনের তপশিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থীকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

মেসি নন, নতুনদের নিয়েই পুয়ের্তো রিকোর মুখোমুখি আর্জেন্টিনা

বিএনপি কোনো দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায় না : কফিল উদ্দিন 

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি

পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে : পরওয়ার

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : লায়ন ফারুক

ভারতের হারে এশিয়ান কাপ খেলার স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের

সাবেক স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

পর্তুগালসহ যেসব দল আজ নিশ্চিত করতে পারে বিশ্বকাপের টিকিট!

১০

এক দিনের ব্যবধানে দেশে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল

১১

সুস্থ থাকতে খেলাধুলার বিকল্প নেই : মেয়র ডা. শাহাদাত

১২

ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ায় প্রতিবন্ধীর প্রতিবাদ

১৩

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মিরাজদের সামনে বিশাল লক্ষ্য

১৪

চাকসুতে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ

১৫

গুমের শিকার পরিবারগুলোর মানববন্ধন / স্বজনদের ফেরত দিন, না পারলে জড়িতদের বিচার করুন

১৬

অগ্নিকাণ্ডে মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে : ফায়ার সার্ভিস

১৭

গণভোট মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জামায়াতের

১৮

গাজার ফুটবল পুনর্গঠনে সহায়তার অঙ্গীকার ফিফা সভাপতির

১৯

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে আবার রেকর্ড

২০
X