জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অনশনরত শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়ের ওপর অতর্কিত হামলা করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএইচ হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাধা দিতে গেলে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচিসহ এবং বেশ কয়েকজন বামপন্থী শিক্ষার্থীরাও হামলার শিকার হন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বনির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। রাত সাড়ে ১০টায় মীর মোশররফ হোসেন হল শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী হল থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর তারা অনশনরত শিক্ষার্থীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তার বিছানা-বালিশে আগুন লাগিয়ে দেন।
এরপর অনশনরত শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বাধা দিতে গেলে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ, মাশিয়াত সৃষ্টি, মনিকা নকরেক এবং শারমিন সুর মারধরের শিকার হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় মীর মোশররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট সাব্বির রহমান এবং হল প্রশাসন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন শিক্ষক অছাত্রদের তালিকা করতে যান। এরই জেরে ছাত্রলীগের নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। রাত ১০টায় পূর্বনির্ধারিত লোডশেডিং শুরু হলে ছাত্রলীগের নেতাদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে শতাধিক নেতাকর্মী হামলায় অংশ নেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাকর না, বডিগার্ডও না। ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। দরকার হলে আমি পদত্যাগ করব।’
মন্তব্য করুন