রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ছাত্রদল নেতার শেল্টারে জুলাই হত্যা মামলার আসামি জবি ক্যাম্পাসে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাস ক্যাম্পাসে এসেছেন। ছবি : কালবেলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাস ক্যাম্পাসে এসেছেন। ছবি : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাসকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তার নামে দুটি মামলা রয়েছে।

বুধবার (০৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আটককারী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মিল্টন বিশ্বাসের নামে দুটি মামলা রয়েছে। এ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কাছে একটি চিঠি নিয়ে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার আত্মীয় পরিচয় দেওয়া আরেক ব্যক্তি ‘জন সুশান্ত বিশ্বাস’। এ সময় ‘জন’ নিজেকে ছাত্রদল নেতা বলে পরিচয় দেন। তবে ছাত্রদলে তার কোনো পদ-পদবি নেই।

নিজেকে ছাত্রদল নেতা পরিচয় দেওয়া জনের মোবাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকরের ফোন নাম্বার পাওয়া যায়। জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর এবং সাবেক সাংবাদিক নেতা সুজাউদ্দিন সুজার যোগসাজশে ক্যাম্পাসে এসেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে মিলটন বিশ্বাস বলেন, আমার নামে দুটি মামলা আছে। যে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আমি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছউদ্দিন স্যারের কাছে চিঠি দিতে এসেছিলাম। ক্যাম্পাসে কার শেল্টারে এসেছেন জানতে চাইলে মিল্টন বিশ্বাস বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাংবাদিক নেতা সুজাউদ্দীন সুজা ও আল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসেছি।

এর আগেও ক্যাম্পাসে এসে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাছির উদ্দীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আমি তো না করতে পারি না। মিল্টন স্যার একজন শিক্ষক হিসেবে দেখা তো করতেই পারেন।

এ বিষয়ে মিল্টন বিশ্বাসের সঙ্গে থাকা তার আত্মীয় পরিচয়ী ব্যক্তি জন বলেন, আমি ছাত্রদলের কেউ নই। মিল্টন বিশ্বাসের সঙ্গে এসেছিলাম। আমার ভুল হয়েছে।

এ বিষয়ে আবু বকর বলেন, জনের বাড়ি আমার জেলায়। সে ক্যাম্পাসে আসার পরে আমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তার সঙ্গে আগে থেকে কখনো যোগাযোগ ছিল না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, সে আমার কাছে মামলা বাতিলের জন্য আবেদন নিয়ে আসে। পরে আমি তাকে বলি এটা শিক্ষক সমিতির অফিসে জমা দিবেন। আমার এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীদের হাতে আটক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস ও আত্মীয় পরিচয় আসা ব্যক্তি জনকে প্রক্টর অফিসে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজামুল হক বলেন, যেহেতু তাকে প্রক্টর অফিসে রাখা হয়েছে সেহেতু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়া উচিত। আমি এখন ক্যাম্পাসে নেই। যদি কেউ অপরাধীদের সঙ্গে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত: জোনায়েদ সাকি

এনসিপির কর্মকাণ্ডে ফিরছেন সারোয়ার তুষার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার 

সাংবাদিকের বাড়িতে চুরি, স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকার ক্ষতি

৪৫ বছর ভাত না খেয়েও সুস্থ ও সবল বিপ্লব

চেতনানাশক খাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতি

রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা

প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে ছাত্রদলের নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে চাকরি খোয়ালেন বেরোবি সমন্বয়ক

হাওর ও চরাঞ্চলের শিক্ষক বদলির তদবির আসে ওপর থেকে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১০

জয় স্যুটকেস ভরে টাকা নিয়ে গেছে : হাবিব-উন-নবী সোহেল

১১

২৫ বছর ধরে বাঁশির মায়ায় আটকে আছে শফিকুলের জীবন

১২

একাত্তরেও আ.লীগ পালিয়েছে, এবারও পালিয়ে গেছে : টুকু

১৩

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু, শেষ হচ্ছে কবে

১৪

তিন দিনের মধ্যে সাদাপাথর ফেরত না দিলে ব্যবস্থা

১৫

উগান্ডার সঙ্গে ট্রাম্পের চুক্তি, জানা গেল নেপথ্য কারণ

১৬

ইসহাক দারের সঙ্গে কী আলোচনা হলো বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির

১৭

মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু রোববার : রাকসু ট্রেজারার

১৮

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৯

পাথরের জন্য মাইকিং, ডেডলাইন ২৬ আগস্ট

২০
X