জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ছাত্রদল নেতার শেল্টারে জুলাই হত্যা মামলার আসামি জবি ক্যাম্পাসে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাস ক্যাম্পাসে এসেছেন। ছবি : কালবেলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাস ক্যাম্পাসে এসেছেন। ছবি : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাসকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তার নামে দুটি মামলা রয়েছে।

বুধবার (০৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আটককারী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মিল্টন বিশ্বাসের নামে দুটি মামলা রয়েছে। এ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কাছে একটি চিঠি নিয়ে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার আত্মীয় পরিচয় দেওয়া আরেক ব্যক্তি ‘জন সুশান্ত বিশ্বাস’। এ সময় ‘জন’ নিজেকে ছাত্রদল নেতা বলে পরিচয় দেন। তবে ছাত্রদলে তার কোনো পদ-পদবি নেই।

নিজেকে ছাত্রদল নেতা পরিচয় দেওয়া জনের মোবাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকরের ফোন নাম্বার পাওয়া যায়। জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর এবং সাবেক সাংবাদিক নেতা সুজাউদ্দিন সুজার যোগসাজশে ক্যাম্পাসে এসেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে মিলটন বিশ্বাস বলেন, আমার নামে দুটি মামলা আছে। যে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আমি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছউদ্দিন স্যারের কাছে চিঠি দিতে এসেছিলাম। ক্যাম্পাসে কার শেল্টারে এসেছেন জানতে চাইলে মিল্টন বিশ্বাস বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাংবাদিক নেতা সুজাউদ্দীন সুজা ও আল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসেছি।

এর আগেও ক্যাম্পাসে এসে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাছির উদ্দীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আমি তো না করতে পারি না। মিল্টন স্যার একজন শিক্ষক হিসেবে দেখা তো করতেই পারেন।

এ বিষয়ে মিল্টন বিশ্বাসের সঙ্গে থাকা তার আত্মীয় পরিচয়ী ব্যক্তি জন বলেন, আমি ছাত্রদলের কেউ নই। মিল্টন বিশ্বাসের সঙ্গে এসেছিলাম। আমার ভুল হয়েছে।

এ বিষয়ে আবু বকর বলেন, জনের বাড়ি আমার জেলায়। সে ক্যাম্পাসে আসার পরে আমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তার সঙ্গে আগে থেকে কখনো যোগাযোগ ছিল না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, সে আমার কাছে মামলা বাতিলের জন্য আবেদন নিয়ে আসে। পরে আমি তাকে বলি এটা শিক্ষক সমিতির অফিসে জমা দিবেন। আমার এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীদের হাতে আটক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস ও আত্মীয় পরিচয় আসা ব্যক্তি জনকে প্রক্টর অফিসে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজামুল হক বলেন, যেহেতু তাকে প্রক্টর অফিসে রাখা হয়েছে সেহেতু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়া উচিত। আমি এখন ক্যাম্পাসে নেই। যদি কেউ অপরাধীদের সঙ্গে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এককভাবে সরকার গঠন করবে বিএনপি : এমরান চৌধুরী

‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে রংপুর অচল করে দিতে বাধ্য হবো’

নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না : লায়ন ফারুক

ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন

বৃহত্তর মিরপুরে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দেশ বাঁচাতে হলে বিএনপির বিকল্প নেই : টুকু

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা / বস্তিবাসী ও শহীদ পরিবারের ন্যায্য দাবি মেনে নিন

মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

রাজধানীতে ১৭ ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জাগপা ছাত্রলীগের বৈঠক

হাত-মুখ বেঁধে শিশুকে ধর্ষণ, যুবককে খুঁজছে পুলিশ

১০

এনসিটিবির নামে ‘নকল’ ছাপাখানা, আটক ৫ 

১১

পচা চাল ক্রয়, বাচ্চু মিয়াকে বাধ্যতামূলক অবসর

১২

শহিদুল আলমসহ নৌবহর থেকে আটক ব্যক্তিদের কারাগারে বন্দি

১৩

পা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আইসক্রিম বিক্রেতা রফিকুল

১৪

গুণগত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা তারেক রহমানের অঙ্গীকার : সাঈদ

১৫

চাকসু নির্বাচনের প্রচারে এগিয়ে ছাত্রদলের প্যানেল

১৬

জনপ্রশাসনের এপিডি এরফানুল হককে বদলি

১৭

কর্ণফুলীর তীরে নতুন আশা

১৮

চাকসু নির্বাচনে আরও তিন প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা

১৯

সিলেট বিমানবন্দরে বিদ্যুৎস্পর্শে যুবকের মৃত্যু, থানায় মামলা

২০
X