জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অভিযোগ নিয়ে যাওয়া জবি ছাত্রফ্রন্ট সভাপতিকে বের করে দেন রেজিস্ট্রার 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত

‘বের হয়ে যাও! ওরে বের করে দাও! বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে এসেছ এলাকার কলেজে পড়লেই তো পারতে’ ঠিক এভাবেই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে রুম থেকে বের করে দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন। হেনস্তার শিকার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে গত তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে যায় ইভান তাহসীভসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এসব চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরই তিনি এর সমাধান না করে উল্টো অভিযোগকারীদের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে তাকে রুম থেকে বের করে দেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার একটি অডিও ক্লিপ হাতে এসেছে প্রতিবেদকের কাছে।

অডিও ক্লিপে শোনা যায়, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে রেজিস্ট্রার ড. গিয়াস উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারব না, মালামাল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কী খাবে, কোথায় থাকবে এই দায়িত্ব প্রশাসনের না। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার নিতে পারবে না। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, বের হয়ে যাও, ওকে বের করে দাও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে আসো এলাকায় পড়লেই তো পারতে।

এ বিষয়ে ইভান তাহসীব বলেন, আমার এক ছোট ভাইয়ের সাইকেল চুরি নিয়ে অভিযোগ জানাতে আমরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে যাই। আমি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেজ থেকে সাইকেল চুরির ঘটনা বললে, রেজিস্ট্রার উত্তেজিত হয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গ্যারেজ নেই। শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডের মালামালের নিরাপত্তার দায়িত্ব ওনি নিতে পারবে না বলে জানান। শিক্ষার্থীরা টিউশনির জমানো টাকায় সাইকেল কেনে, সেই সাইকেল নিয়ে টিউশনি করে।

তিনি যদি গ্যারেজের নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তাহলে গ্যারেজ বন্ধ করে দিন, অথবা সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘোষণা করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মালামালের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিতে পারবে না। একপর্যায়ে ওনি আমাকে তার কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার বিভিন্ন ফোন নম্বর দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিআর পদ্ধতি নিয়ে ‘গণভোট’ দাবি ইসলামী আন্দোলনের

স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ

অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি দিচ্ছে ইবনে সিনা, পাবেন একাধিক সুবিধা

হস্তান্তরের আগেই স্কুলের নবনির্মিত ভবনে ফাটল

আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে দুঃসংবাদ দিল ফিফা

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় জানালেন ইসি সচিব

জেসিআই ঢাকা সাউথের উদ্যোগে রাইজআপ টাইগ্রেস স্কলারশিপ প্রকল্পের উদ্বোধন

মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

গাজায় রুয়ান্ডার ছায়া, কী হতে চলেছে

১০

আংশিক সূর্যগ্রহণের বিষয়ে জানাল আইএসপিআর

১১

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

১২

মায়ের মৃত্যুর পর ১৪ বছর ধরে শিকলবন্দি লিটন

১৩

এক সপ্তাহের মধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ব্রিটেন

১৪

শুক্রবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১৫

কাদের সঙ্গে জোট করবে জমিয়ত, জানালেন মহাসচিব

১৬

কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি

১৭

আফগানিস্তান সফরে গেলেন মামুনুল হকসহ ৭ আলেম

১৮

১১ বছর পর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে স্পেন

১৯

সৌদি-পাকিস্তানের চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের প্রতিক্রিয়া

২০
X