কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডাকসু ও জাকসুর ভিপি-জিএসের কার বাড়ি কোথায়

বাঁ থেকে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, জাকসু ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু ও জিএস মাজহারুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
বাঁ থেকে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, জাকসু ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু ও জিএস মাজহারুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। ভিপি পদে মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), জিএস পদে এস এম ফরহাদ জয় পেয়েছেন।

অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

ডাকসুর ফলে দেখা গেছে, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) সর্বমোট ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়েছেন, জিএস পদে এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়েছেন। জাকসুর ফলাফলে দেখা গেছে, ভিপি পদে আব্দুর রশিদ জিতু পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৪ ভোট, জিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মো. মাজহারুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৩০ ভোট।

ডাকসু ও জাকসুর নবনির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধির কার বাড়ি কোথায়, তা তুলে ধরা হলো—

সাদিক কায়েম :

সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকায়। তার বাবা জেলা শহরের একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তার ছোট ভাইও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।

ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সাদিক খাগড়াছড়ি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং পরে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ থেকে আলিম পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। মেধাবী এই তরুণ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ফলে নিজ বিভাগে তৃতীয় হয়েছিলেন। স্নাতকে তার সিজিপিএ ছিল ৩ দশমিক ৭৮। তবে স্নাতকোত্তরে তার সিজিপিএ কত ছিল সেটি জানা সম্ভব হয়নি।

সাদিক কায়েম পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সাবেক সভাপতি, হিল সোসাইটি সাবেক প্রতিষ্ঠাতা, সেভ ইয়ুথ-স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ভায়োলেন্সের সাবেক ফ্যাসিলিয়েটর, সূর্য সেন হল অ্যাসোসিয়েশন অব পলিটিক্যাল সায়েন্সের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ইয়ুথ ইনিশিয়াটিভ-বিওয়াইআইয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

এস এম ফরহাদ :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস এম ফরহাদ। রাঙামাটির ছেলে ফরহাদ ওই জেলার মাইনী গাথাছড়া বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার থেকে দাখিল পাস করেন। এরপর চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন তিনি।

এস এম ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির নেতা ও জসিমউদদীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি জসিমউদদীন হল ডিবেটিং ক্লাবের দায়িত্বেও ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ঢাবিতে অধ্যয়নরত পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু :

আব্দুর রশিদ জিতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচ (মাস্টার্সের) শিক্ষার্থী। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর গ্রামে। জিতু বিশ্ববিদ্যালয়ের গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক। জুলাই আন্দোলনের প্রথম থেকে সোচ্চার ছিলেন তিনি। এমনকি গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী শিক্ষার্থীদের স্বার্থে যৌক্তিক সব আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন। মূলত জুলাই আন্দোলন থেকে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আগে জিতু ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও আন্দোলনের সময় সর্বপ্রথম ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে আহত হন। পরবর্তী সময়ে আরিফ সোহেল আটক হলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে ‘ফার্স্ট ম্যান’ হিসেবে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলন পরিচালনা করেন।

গতবছর আগস্টে সরকার পতনের দুমাস পর সমন্বয়কদের অপারগতা, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূতকরণ, জনসম্পৃক্ততার অভাব, দোষী ও স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে অনীহা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল স্পিরিটকে ধারণ করতে অক্ষমতার অভিযোগ এনে ১৭ জন সমন্বয়ককে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানার থেকে পদত্যাগ করেন আব্দুর রশিদ জিতু।

পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেন। এ প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিতেন তিনি।

জিএস মাজহারুল ইসলাম :

মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের (৪৮তম ব্যাচ) মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার এলাকার বাসিন্দা এবং ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম মঞ্জুর বড় ছেলে।

মাজহারুল ২০১৬ সালে নোয়াখালী জেলা স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি, ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করে। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি সে অনেক ধরনের সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ছাড়া আলোচিত জুলাইযোদ্ধা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের বড় ভাই জিএস মাজহারুল ইসলাম।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাক-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল চালকের

এশিয়া কাপ জিতলেও ট্রফি হাতে নেবে না ভারত, নেপথ্যে যে কারণ

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

গাজায় ৭৫০ বছরের পুরোনো মসজিদ ধ্বংস করল ইসরায়েল

নারী পর্যটকদের গোসলের ভিডিও ধারণ করছিল যুবক, অতঃপর...

টানা ৫ দিন বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে যেসব অঞ্চলে

কিডনি খারাপ হওয়ার আগে সংকেত দেয় চোখ, যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড়, ৩৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে শোকজ

শিল্পপতি অনিরুদ্ধ কুমার রায়ের আর্থিক সহায়তা পেল ৭৭টি পূজামণ্ডপ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১০

যে ৩ সময়ে দোয়া করলে বেশি কবুল হয়

১১

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যে ৪ আমল বেশি বেশি করবেন

১২

সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত

১৩

পাকিস্তানের বারংবার পরমাণু হুমকি নিয়ে এবার মোদির জবাব

১৪

বিলুপ্তির পথে ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুর মেলা

১৫

শেষ ম্যাচে লিটন কি শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন করবেন, জানালেন নিজেই

১৬

ইসরায়েলি হামলার ভয়ে চীনা আকাশ প্রতিরক্ষা মোতায়েন করল আরেক মুসলিম দেশ 

১৭

ইসরায়েল খেললে বিশ্বকাপ বয়কটের ইঙ্গিত স্পেনের!

১৮

৪ ঘণ্টা পর দিনাজপুরে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার

১৯

নতুন মামলায় আনিসুল-আমুসহ গ্রেপ্তার ৮ জন

২০
X