নিজ বিভাগের পরীক্ষাসংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষকের নিয়োগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরীক্ষা কমিটি থেকেও বাতিল করা হয়েছে। এর আগে দৈনিক কালবেলায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) চবির ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা স্বাক্ষরিত ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি আছমা আক্তার বরাবর প্রেরিত এক চিঠিতে এ নিয়োগ বাতিল করা হয়। ইতোমধ্যেই চিঠিটি কালবেলার হাতে এসে পৌঁছেছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আদেশক্রমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে, ৩য় বর্ষ, বিএ (সম্মান) পরীক্ষা-২০২২ এর বাহিরিক (বহিঃসদস্য) সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়োগ প্রদানের সুযোগ নেই। ওই কমিটি পুনঃগঠন করে চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
ওই শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন। গত বছরের ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক তিন বছরের জন্য নিজ বিভাগের পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি।
এদিকে গত ৭ সেপ্টেম্বর চবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি আছমা আক্তার স্বাক্ষরিত ৩য় বর্ষ বিএ অনার্স পরীক্ষা ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা কমিটিতে বাহিরিক (বহিরাগত) সদস্য হিসেবে রাখা হয় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনকে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দৈনিক কালবেলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ‘Kalbela.com’-এ ‘ঢাবিতে নিষিদ্ধ শিক্ষক চবির পরীক্ষা কমিটিতে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
যেখানে ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিভাগের পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ হওয়া অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদটি প্রকাশের পরপরই শুরু হয় দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হলে যথারীতি নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) চবির ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক এ নিয়োগ বাতিল করা হয়।
এ বিষয়ে চবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি আছমা আক্তার কালবেলাকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগের পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ শিক্ষককে চবির পরীক্ষা কমিটিতে রাখা অযৌক্তিক, নীতি-নৈতিকতা বিরুদ্ধ ও অপরাধকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল। এজন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের পরীক্ষা কমিটি থেকে ওনার নিয়োগ বাতিল করেছে বলে আমি মনে করি।
মন্তব্য করুন